কলকাতা, 15 নভেম্বর : বাজির পোড়ানোর ক্ষেত্রে শনিবার সন্ধে থেকে রাত পৰ্যন্ত অনেকটাই সংযম দেখাল শহর কলকাতা মানুষ । এর ফলে শনিবার শহরাঞ্চলে দূষণের মাত্রাও ছিল গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কম ।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানান যে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মনিটরিং স্টেশনের হিসাব অনুযারী শনিবার রাতে বাতাসে বস্তুকণার বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI)-এর মাত্রা ছিল 226 যা গতবছরের কালীপুজোর রাতের তুলনায় অনেকটাই কম । পর্ষদের হিসাব অনুযায়ী গতবছর কালীপুজোর রাতে বাতাসে বস্তুকণার বা AQI-এর মাত্রা ছিল 700 ।
বস্তুকণার বা AQI-এর মাত্রা 201 থেকে 300-র মধ্যে থাকলে তাকে "খারাপ" বলে গণ্য করা হয় । আর সেই একই মাত্রা 500-র উপরে গেলে তাকে "বিপজ্জনকভাবে দুঃসহ" বা "সিভিয়ার প্লাস" গণ্য হয় ।
পর্ষদের সেই আধিকারিকের মতে বিক্ষিপ্তভাবে দুই এক জায়গায় শব্দবাজি বা আলোকবাজি পোড়ানো হলেও, শনিবার রাতে পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে । পর্ষদের হিসাব অনুযায়ী শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ অঞ্চলে বস্তুকণার বা AQI-এর মাত্রা ছিল 151, কলকাতা-সংলগ্ন বিধাননগর এলাকায় ছিল 142 এবং মধ্য কলকাতার ভিক্টোরিয়া এয়ার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছিল 115 । এই সবক'টি এলাকাতে শনিবার রাতে বাতাসে বস্তুকণার বা AQI-এর মাত্রা ছিল গত বছরের কালীপুজার রাতের তুলনায় অনেক কম ।
পরিবেশবিদরাও মনে করেছেন, বাজির উপর কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবং পুলিশের নজরদারি মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি বা সচেতনতার সৃষ্টি করেছে ।