কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: বগটুই কাণ্ডে ধৃত লালন শেখের (Lalan Sheikh Death) সিবিআই হেফাজতে মত্যুর প্রতিবাদে সরব হল এপিডিআর । ঘটনার পরম্পরা এবং পরিবার যে অভিযোগ তুলছে, তাতে লালন শেখের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ এপিডিআর । তদন্তকে বিঘ্নিত করতেই কি এই ঘটনা ? প্রশ্ন তুলছে তারা । ফলে ক্যাম্প অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইনচার্জের সাসপেন্ড থেকে তদন্তকারী অফিসারদের সরানো এবং হাইকোর্টে কর্মরত কোনও বিচারককে দিয়ে তদন্তের (Judicial Probe) দাবি তুলছে এপিডিআর (APDR and CPIML Liberation)। এই দাবিতে মঙ্গলবার এক্সাইড মোড় থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত মিছিল করে তারা এবং নিজাম প্যালেসে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় ।
এপিডিআর সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ শূর বলেন, "হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের দেহ উদ্ধার হয়েছে । গোটা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি । হাইকোর্টের সিটিং জাজকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে । যে ক্যাম্পে লালন মারা গিয়েছে সেখানকার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে হবে । দোষীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।"
এ দিন মিছিলের সময় এপিডিআর-এর কর্মীদের নিজাম প্যালেসে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ । সে বিষয়ে রণজিৎ সুর বলেন, "সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ । অথচ কলকাতা পুলিশ আমাদের স্মারকলিপি জমা দিতে বাধা দিচ্ছে । সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে । আমরা কোন দেশে বসবাস করছি, যেখানে নাগরিক অধিকারও প্রয়োগ করতে দেওয়া হচ্ছে না । এতেই স্পট দেশের গণতন্ত্র কতটা আক্রান্ত ।"
আরও পড়ুন: 50 লক্ষ ঘুষ না দেওয়াতেই লালনকে খুন, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর
এ দিকে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন প্রেস বিবৃতিতে বিচারাধীন বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে । তাদের বক্তব্য, "সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে বগটুই গণহত্যায় প্রধান অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে । লালন শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় 302 ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে । ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিবিআই হেফাজতে বিচারাধীন বন্দির জিজ্ঞাসাবাদ ইত্যাদি কাজ চলছিল । 2020 সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই হেফাজতে তদন্ত চলাকালীন 24 ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে হবে । অথচ রামপুরহাট সিবিআই হেফাজতে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা চালু ছিল না । লালন শেখের স্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য টাকা (ঘুষ) চাওয়া হয়েছিল ।"