কলকাতা, 9 মে : সব পুলিশকর্মীকে রোজ শরীরের তাপমাত্রা মাপার নির্দেশ দিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা । কলকাতা পুলিশের সবক'টি থানা এবং বিভাগের OC-দের সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে । কলকাতা পুলিশের 12 জন আধিকারিক এবং কর্মীর কোরোনা সংক্রমণের পর এবার কড়া সতর্ক কলকাতা পুলিশের । নগরপাল এছাড়াও দিয়েছেন একগুচ্ছ নির্দেশ ।
কলকাতা পুলিশের অন্তত তিনজন OC, কয়েকজন সাব-ইনস্পেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল কোরোনা আক্রান্ত । শুধু তাই নয় পুলিশ পরিবারের অনেকেও সংক্রমণের শিকার । তাঁদের কয়েকজন ইতিমধ্যেই অবশ্য সুস্থ হয়েছেন । কিন্তু রোজই নতুন নতুন সংক্রমণের খবর আসছে । সেই সংক্রমণ যাতে কোনওভাবেই আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই কারণে সতর্কতামূলক বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে চাইছে লালবাজার । এর আগে লালবাজারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, গাড়ির নথি দেখার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক । পাশাপাশি নাকা চেকিংয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের জন্য ফেস সিলড মাস্ক, গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত সব পুলিশ কর্মী ফেস সিলড ব্যবহার করছেন না । সে ক্ষেত্রে গাড়ির কাগজ জমা করতে বলা হচ্ছে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে । দূরত্ব বজায় রেখে সেই প্যাকেট থেকে নথি দেখে আবার সেখানেই রাখছেন পুলিশকর্মীরা ।
লালবাজার থানার তরফে বলা হয়েছিল, থানায় ডিউটি করা কর্মীদের বারবার হাত ধোওয়ার জন্য । থানায় আসা ব্যক্তিরা যাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পর থানায় ঢুকতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলা হয় । থানাগুলিকে প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে লালবাজার তরফে ।
একইসঙ্গে নগরপাল সব OC-দের নির্দেশ দিয়েছেন, কোন ডিভিশনে কত পুলিশকর্মী এই মুহূর্তে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গের ভুগছেন তার তালিকা পাঠাতে । অবিলম্বে তাদের হোম কোয়ারানটিন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নতুন যে মেসেজ তাতে বলা হয়েছে, পুলিশকর্মীকে ডিউটি করার সময় মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে । থানাগুলির পাশাপাশি পুলিশ আবাসন গুলিকেও নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে বলে গানে উল্লেখ করা হয়েছে।