কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : ট্যাংরা দুর্ঘটনার আগের মুহুর্তের CCTV ফুটেজ এল কলকাতা পুলিশের হাতে ৷ ফুটেজে 20 সেকেন্ডের মধ্যে পার হতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবতিকে৷ তাঁর সঙ্গে ছিল শিশু ও মামি শাশুড়ি ৷ 46 সেকেন্ড পর্যন্ত তাঁকে ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে ৷ পুলিশের দাবি, এর পিছনেই ছিলেন গোপালবাবু, পরিবারের অন্য সদস্য়রা আরও পিছনে ৷
ফুটেজের একেবারে বাঁদিকে 55 সেকেন্ড পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে ৷ ঠিক 59 সেকেন্ডে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ফ্রেমে ঢুকতে দেখা যায় ৷
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, যদি অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা 55 সেকেন্ড থেকে 59 সেকেন্ডের মধ্যেই হয়েছে৷ আবার ওই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তবে, মাত্র 4 সেকেন্ডের মধ্যে কিভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
ওই যুবতির দাবি, তিনি ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই অ্যাম্বুলেন্সটি তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় ৷ তদন্তকারীরা মনে করছেন, যুবতির দাবি সত্যি হলে অ্যাম্বুলেন্স সামনে এসে দাঁড়ালে তাঁর দু'পা পিছিয়ে আসার কথা ৷ সেক্ষেত্রে আবারও ফ্রেমে ঢুকে যাওয়ার কথা যুবতির ৷ কিন্তু তেমন কিছুই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে না ৷ এমনকী পরিবারের সদস্যসদেরও স্বাভাবিক গতিতেই 55 সেকেন্ড পর্যন্ত হাঁটতে দেখা গেছে ৷ এখানেই তৈরি হয়েছে ধাঁধা ৷ তদন্তকারীদের প্রশ্ন, যুবতির কথা মতো ৫৫ থেকে ৫৯ সেকেন্ডের মধ্যে মানে মাত্র চার সেকেন্ডের মাথায় সমস্ত ঘটনা ঘটেছে ৷ ওই সময়ের মধ্যে এত কিছু কীভাবে ঘটা সম্ভব ?
CCTV- ফুটেজের আরও একটি বিষয় তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে ৷ তা হল যুবতির দাবি মতো তাঁকে অপহরণের চেষ্টা হলে পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে এগিয়ে আসত ৷ সেক্ষেত্রে CCTV-তে দৌড়ানোর ছবি ধরা পড়ার কথা ৷ তবে, সেসব কিছুই দেখা যায়নি ৷ বরং তাঁদের দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে ৷
গত 4 ফেব্রুয়ারি ট্য়াংরায় দুর্ঘটনা ঘটে ৷ অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মারা যান গোপাল প্রামাণিক ৷ মৃত ব্য়ক্তির গৃহবধূ পুলিশকে জানান, রাত 11:45 নাগাদ তিনি তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন । বিয়েবা়ড়ি ছিল পূর্বাচলে। ফেরার সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় । ভিতর থেকে কয়েকজন বেরিয়ে তাঁর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে । অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে । তাঁর শ্বশুর দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে যান । তাঁকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর শ্বশুরের গায়ের উপর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দেয় চালক ।