কলকাতা, 12 মে : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিশ খানকে পুলিশ পরিকল্পিতভাবেই খুন করেছে । রাজ্য পুলিশের সিট যে তদন্ত করেছে তাতে আপাদমস্তক পুলিশকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করলেন আনিশ খানের পরিবারের তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Anish Khan was Murdered by Plan says Bikash Ranjan Bhattacahrya)।
সিটের তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজা শেখার মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি । সেখানে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "সিট যে তদন্ত করেছে তাতে পুলিশদেরকে আড়াল করা হয়েছে । ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । তাহলে যদি সে নিজে লাফ দিত ছাদ থেকে তবে পাশে ইলেকট্রিক তার রয়েছে সেখানে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল । বা সেখানে আঘাত লাগতে পারত । কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আনিশের হাতে পায়ে কোনও আঘাত ছিল না । রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে, হয় কেউ তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে অথবা বেতালে পড়ে যেতে পারে । পুলিশি অভিযানের পর তাঁর মৃত্যু হয় । এর থেকে অনুমান করা যায় এটা খুন ।"
এদিন পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে তিনি বলেন, "পলিগ্রাফ টেস্টে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে তা অযৌক্তিক । একেবারে সাজানো মনে হচ্ছে । বাবার অভিযোগ আগে তাঁকে মারা হয়েছে তারপর ফেলে দেওয়া হয়েছে । আনিশ খানের বাড়িতে আসার পর পুলিশ বাড়ির সামনে ও পিছনে পজিশন নিয়েছিল ৷ সিটের তদন্তে যেটা দেখানোর চেষ্টা হয়েছে তা হচ্ছে, পুলিশ এতে যুক্ত নয় কোনওভাবেই ।"
এর পালটা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "সিএফএসল পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে । তাঁরা মূলত সিবিআই অফিসার ৷ তাঁদের এক্সপার্টরা এসে এটা করেছে ।"
বিচারপতি রাজা শেখার মান্থা অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যে জানতে চান ওই দিন ঠিক কী ঘটেছিল ৷ এই বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "সিভিক ভলান্টিয়ার সৌরভ কানরার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান করেছিল । মোবাইল ফোন সিজ করা হয় । সেগুলো সিএফএসএল দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল তার রিপোর্টও এসেছে ।" আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি রয়েছে এই মামলার ।
আরও পড়ুন : Anish Khan Murder Case : 18 ফেব্রুয়ারি আনিশের বাড়িতে পুলিশ ? জানাচ্ছে প্রাথমিক তদন্ত