কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলার মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানালেন বলিউডের 'নায়ক' অনিল কাপুর ৷ তিনি বলেন, নিজে বলিউডে 'নায়ক' ফিল্মে অভিনয় করার পর তিনি জানতে পারেন যে, বাংলাতেও একই নামে একটি ছবি হয়েছে ৷ আর সেটি করেছেন মহানায়ক উত্তম কুমার ৷ তবে এ দিন সর্বসমক্ষে সলমন খানকে হিন্দি ফিল্মের মহানায়ক বলে উল্লেখ করেন অনিল কাপুর ৷ তিনি জানান যে, 43 বছর আগে কলকাতা থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর সিনেমার সফর ৷ এ দিন অপর্ণা সেনের ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন মিস্টার ইন্ডিয়া ৷
বাংলার প্রতি তাঁর অমোঘ আকর্ষণের কথা এ দিন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে প্রকাশ করেছেন অনিল কাপুর ৷ রুপোলি পর্দায় তাঁর কেরিয়ার শুরুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "কলকাতা আমার কাছে শুধু একটা শহর নয় ৷ একটা আবেগের অভিজ্ঞতা ৷ আমার ফিল্ম লাইফ শুরু হয় কলকাতাতে ৷ 1979 সালে আমি মুম্বই বিটি স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশনে আসি ৷ তারপর উঠি বালিগঞ্জের গেস্ট হাউসে ৷ এমএস সত্তুর 'কাঁহা কাঁহা সে গুজর গয়ে' আমার প্রথম কাজ ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ছবির প্রযোজনা করে ৷ সরকারি তহবিল ছাড়া 43 বছর আগে আমার কেরিয়ার শুরু হত কি না জানি না ৷ বালিগঞ্জের গেস্ট হাউসই 45 দিন ধরে আমার বাড়ি ছিল ৷"
এ দিন উত্তম কুমারের ভূয়সী প্রশংসা করেন অনিল কাপুর ৷ তিনি বলেন, "উত্তম কুমার একজন মহান মানুষ ৷ তিনি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান ৷ আমি একটা ছবি করেছিলাম, 'নায়ক'৷ পরে জানতে পারি বাংলাতেও নায়ক নামে একটা ছবি হয়েছে ৷ পরিচালক সত্যজিৎ রায় ৷ নায়কের চরিত্রে উত্তম কুমার ৷ পরে যখন ডিটেইল জানলাম, তখন তাঁকে চিহ্নিত করলাম মহানায়ক হিসেবে ৷ 1966-এ মুক্তি পেলেও আজকের দিনেও সমান অর্থবহ ওই ছবি ৷ বাংলা ছবির কিংবদন্তি এভারগ্রিন মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানাই ৷" এ কথা বলার পরই জোর গলায় অনিল কাপুর দাবি করেন যে, হিন্দি ছবির মহানায়ক হলেন সলমন খান ৷ বলেন, "আসল টাইগার একজনই ৷ টাইগার জিন্দা হ্যায় ৷ জিন্দা রহেগা ৷ হিন্দি সিনেমার মহানায়ক সলমন খান ৷"
কলকাতার নস্টালজিয়ায় ভেসে এ দিন অনিল কাপুর অকপটে স্বীকার করে নেন যে, তিনি তরুণ মজুমদার বা মৃণাল সেনের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাননি ৷ অপর্ণা সেনের ছবির জন্য অডিশন দিলেও তিনি বয়স কম হওয়ার কারণে অনিলকে নিতে চাননি বলে এ দিন জানান তিনি ৷ একইসঙ্গে রসিকতার সুরে তিনি বলেন, "এ বার তো আমার বয়স হয়েছে ৷ তাই আমাকে ফিল্মে নিন অপর্ণা সেন ৷"
আরও পড়ুন: