ETV Bharat / state

বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা, ক্ষোভ প্রশমনে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক শুরু

author img

By

Published : Jun 4, 2020, 11:05 AM IST

পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে কোরোনা আক্রান্তদের কোয়ারানটিন, ছুটি না পাওয়া, দিন দিন পুলিশে কোরোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়া ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা ৷ সেই ক্ষোভ কমাতে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ৷

ক্ষোভ প্রশমনে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক শুরু, চলবে সব ডিভিশনেই
ক্ষোভ প্রশমনে পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক শুরু, চলবে সব ডিভিশনেই

কলকাতা, 3 জুন: কলকাতা পুলিশে সংক্রমিতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই 100 ছুঁয়েছে । ফলে কোরোনা আতঙ্কের মাঝে বুক চিতিয়ে লড়াই করা এই মানুষগুলির আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে অনেকটাই । যার পরিণাম 10 দিনের ব্যবধানে তিনটি বিক্ষোভ । আর তারপরেই নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে আধিকারিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । ঠিক হয় নিচুতলার পুলিশকর্মীদের অভাব অভিযোগ শুনবেন আধিকারিকরা । সোমবারই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । এবার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক শুরু করলেন আধিকারিকরা । আজ ইস্ট সাব-আরবানের ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ সেই বৈঠক করলেন তিনটি থানার পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ।

সল্টলেকে বিক্ষোভের পরেই সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে সৈনিক সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার । প্রতি মাসে দুবার করে এই সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । বলা হয়েছে, এই সম্মেলনে নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য শুনতে হবে । এরপর রিপোর্ট পাঠাতে হবে লালবাজারে । তার আগেই যুগ্ম-কমিশনার এবং ডিভিশনাল DC-রা বিভিন্ন ব্যারাক এবং ট্রাফিক গার্ডগুলিতে যাচ্ছেন । সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়া । বিভিন্ন ডিভিশনের DC এবং DC ট্রাফিক বিভিন্ন ব্যারাক এবং ট্রাফিক গার্ড পরিদর্শন করছেন । পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শুনছেন অভাব-অভিযোগ ।

গত 19 মে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হন । কোয়ারানটাইন করা হয় 19 জনকে । বিক্ষোভকারী পুলিশ কর্মীদের দাবি, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেই (PTS) তাদের কোয়ারানটিন করা হয়েছে । আর এখান থেকেই দানা বাঁধতে শুরু করে অসন্তোষ । এর সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় যোগ হয় ৷ অভিযোগ, কোরোনা মোকাবিলায় কাজ করা পুলিশকর্মীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাচ্ছেন না । লকডাউনে অনবরত কাজ করে চলা পুলিশকর্মীরা একদিনের জন্যও ছুটি পাননি । এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে । যার বিস্ফোরণ হয় এক রাতে । রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে পথে নেমে পড়ে তারা । রাত সাড়ে দশটা নাগাদ DCর কাছে অভিযোগ জানাতে যান একদল পুলিশ কর্মী । তারপরেই শুরু হয় পুলিশ বিক্ষোভ । প্রায় 500 পুলিশকর্মী এরপর রাস্তায় নেমে পড়ে । অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা । DC কমব্যাটকে শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করেন বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীরা । এমনকী, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয় ভাঙচুর । পরের দিনই নবান্ন যাওয়ার পথে সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শোনেন অভাব-অভিযোগ । আশ্বাস দেন ব্যবস্থা নেওয়ার । সেই ঘটনার পর গড়ফা থানায় এক কনস্টেবলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয় । ওই কনস্টেবলের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি বলেই অভিযোগ করে তারা । তারপরই সল্টলেকে বিক্ষোভ হয় ।

নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমন করতে মাঠে নেমে পড়লেন আধিকারিকরা । আজ উল্টোডাঙা, ফুলবাগান এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অজয় প্রসাদ । কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি । সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে । অবশ্য দক্ষ অফিসার হিসেবে পরিচিত অজয় প্রসাদ ঠান্ডা মাথাতেই সামলেছেন সবকিছু । শুনেছেন অভাব-অভিযোগের কথা । এই বৈঠকের রিপোর্ট পাঠানো হবে লালবাজারে ।

কলকাতা, 3 জুন: কলকাতা পুলিশে সংক্রমিতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই 100 ছুঁয়েছে । ফলে কোরোনা আতঙ্কের মাঝে বুক চিতিয়ে লড়াই করা এই মানুষগুলির আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে অনেকটাই । যার পরিণাম 10 দিনের ব্যবধানে তিনটি বিক্ষোভ । আর তারপরেই নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে আধিকারিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । ঠিক হয় নিচুতলার পুলিশকর্মীদের অভাব অভিযোগ শুনবেন আধিকারিকরা । সোমবারই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । এবার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক শুরু করলেন আধিকারিকরা । আজ ইস্ট সাব-আরবানের ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ সেই বৈঠক করলেন তিনটি থানার পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ।

সল্টলেকে বিক্ষোভের পরেই সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে সৈনিক সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার । প্রতি মাসে দুবার করে এই সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । বলা হয়েছে, এই সম্মেলনে নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য শুনতে হবে । এরপর রিপোর্ট পাঠাতে হবে লালবাজারে । তার আগেই যুগ্ম-কমিশনার এবং ডিভিশনাল DC-রা বিভিন্ন ব্যারাক এবং ট্রাফিক গার্ডগুলিতে যাচ্ছেন । সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সেই প্রক্রিয়া । বিভিন্ন ডিভিশনের DC এবং DC ট্রাফিক বিভিন্ন ব্যারাক এবং ট্রাফিক গার্ড পরিদর্শন করছেন । পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শুনছেন অভাব-অভিযোগ ।

গত 19 মে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের একজন কোরোনায় আক্রান্ত হন । কোয়ারানটাইন করা হয় 19 জনকে । বিক্ষোভকারী পুলিশ কর্মীদের দাবি, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেই (PTS) তাদের কোয়ারানটিন করা হয়েছে । আর এখান থেকেই দানা বাঁধতে শুরু করে অসন্তোষ । এর সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় যোগ হয় ৷ অভিযোগ, কোরোনা মোকাবিলায় কাজ করা পুলিশকর্মীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার পাচ্ছেন না । লকডাউনে অনবরত কাজ করে চলা পুলিশকর্মীরা একদিনের জন্যও ছুটি পাননি । এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে । যার বিস্ফোরণ হয় এক রাতে । রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে পথে নেমে পড়ে তারা । রাত সাড়ে দশটা নাগাদ DCর কাছে অভিযোগ জানাতে যান একদল পুলিশ কর্মী । তারপরেই শুরু হয় পুলিশ বিক্ষোভ । প্রায় 500 পুলিশকর্মী এরপর রাস্তায় নেমে পড়ে । অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা । DC কমব্যাটকে শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত করেন বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীরা । এমনকী, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের অন্দরমহলে নাকি চালানো হয় ভাঙচুর । পরের দিনই নবান্ন যাওয়ার পথে সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শোনেন অভাব-অভিযোগ । আশ্বাস দেন ব্যবস্থা নেওয়ার । সেই ঘটনার পর গড়ফা থানায় এক কনস্টেবলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয় । ওই কনস্টেবলের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি বলেই অভিযোগ করে তারা । তারপরই সল্টলেকে বিক্ষোভ হয় ।

নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমন করতে মাঠে নেমে পড়লেন আধিকারিকরা । আজ উল্টোডাঙা, ফুলবাগান এবং বেলেঘাটা থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অজয় প্রসাদ । কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি । সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে । অবশ্য দক্ষ অফিসার হিসেবে পরিচিত অজয় প্রসাদ ঠান্ডা মাথাতেই সামলেছেন সবকিছু । শুনেছেন অভাব-অভিযোগের কথা । এই বৈঠকের রিপোর্ট পাঠানো হবে লালবাজারে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.