কলকাতা, 4 অক্টোবর: পুজোর সময় অটো চালকদের দাদাগিরি নতুন নয় শহরবাসীর কাছে ৷ শুধু অটো নয় এবার 'দাদাগিরি' শুরু হয়েছে শহরের পৌরনিগমের পার্কিংলটগুলিতেও ৷ বাড়তি টাকা দাবি করার দিক থেকে অটোর দাদাগিরিকেও হার মানাচ্ছেন বিভিন্ন পার্কিং লটের কর্মীরা। নাজেহাল পার্কিংলটে গাড়ি রাখা মালিকরা ৷ কারণ হিসেবে পার্কিং লটের কর্মীদের দাবি, পুজো বলে একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমন যে ঘটছে তা ইতিমধ্যেই কানে পৌঁছেছে কলকাতা কর্পোরেশনের আধিকারিকদের। ব্যবস্থা নেওয়ার কোথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
নাগরিকদের অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিট থেকে নিউমার্কেট কিংবা গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান বা বড়বাজার এলাকায় রীতিমত চলছে 'পার্কিং তোলাবাজি'। বহু ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া হচ্ছে না ইপস মেশিন মারফত। দেওয়া হচ্ছে না স্লিপও। কলকাতা পৌরনিগমের নিয়ম অনুয়ায়ী দু'চাকা গাড়ির প্রতি ঘণ্টা পার্কিং ফি 5 টাকা। কিন্তু পুজোর বাজারে কে নেয় 5 টাকা ?
নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না পার্কিং লটের কর্মীরা। তাই বাইক থেকে স্কুটি পার্ক করতে কেউ হাঁকেছেন 20 টাকা। কারও দাবি 30 টাকা। ঘণ্টায় 40 টাকা দিতে হচ্ছে এমন জায়গাও আছে এই কলকাতায়। চার চাকার গাড়ির জন্য কলকাতা কর্পোরেশনের পার্কিং ফি প্রতি ঘণ্টায় 10 টাকা। কিন্তু এখন সেসব অতীত। এই টাকা কোথাও বেড়েছে প্রায় তিনগুণ! কোথাও আবার চার থেকে পাঁচ গুন পর্যন্ত বেশি টাকা দিতে হচ্ছে গাড়ির মালিকদের।
কিন্তু কেন নাগরিকদের এই ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে পার্কিং লটের কর্মীদের যুক্তি, পুজোর কারণেই বেশি চাওয়া হচ্ছে পার্কিং ফি। তাঁরা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী। তাঁদের বোনাস বলে কিছু না থাকলেও পরিবার আছে। পরিবারের সদস্যরা আশা করে থাকেন, বছরের এই একটা সময় অন্তত নতুন জামা হবে। কিন্তু তাই বলে সেই টাকা নাগরিকদের কেন দিতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে পৌরনিগমে।
আরও পড়ুন: ফিরেছে পুরনো নিয়ম, পার্কিংয়ের খরচ কমায় খুশি গাড়িরচালক থেকে পার্কিং এজেন্সির কর্মীরাও
এই বিষয় কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এমন অভিযোগ আসছে না যে তেমন নয় । অভিযোগ পেয়ে নির্দিষ্ট পার্কিং লটের ভারপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হয়েেছে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । তবে যে পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছিল সেটা বাস্তবায়ন হলে এই বেআইনি তোলাবাজি অনেকাংশেই হ্রাস পেত বলে দাবি ওই আধিকারিকের । তবে নিয়ম অনুসারেই কাজ করতে হবে। ধার্য করা টাকা বেশি নিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।