কলকাতা, 19 ডিসেম্বর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি'তে কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে কয়েক মাস ধরে । গ্রুপ -ডি'তে নিয়োগ নিয়ে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার তদন্তে ইতিমধ্যেই এক প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । এসবের মধ্য়েই এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে তৈরি হল জটিলতা, অভিযোগ উঠল অনিয়মের (allegation of irregularities in madrasah service Commission recruitment) ৷
2014 সালের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শারীরশিক্ষা বিষয়ে নিয়োগের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে । 17 ডিসেম্বর থেকে এই নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মামলার ফলাফলের উপর বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । আগামী 23 ডিসেম্বর ফের শুনানি হওয়ার কথা এই মামলার ।
জানা গিয়েছে, 2014 সালে রাজ্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শারীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন গ্রহণ করে । কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়, কারণ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বৈধতা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল । পরবর্তীতে জটিলতা কাটলে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন । কিন্তু পরে গাউসার আলি নামে এক নিয়োগ প্রার্থী অভিযোগ করেন, শিক্ষাগত যোগ্যতায় একই নম্বর থাকা সত্ত্বেও অন্য একজনকে মাদ্রাসায় নিয়োগের চুড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে । এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি । তাঁর দাবি, নিয়োগের জন্য যে যোগ্যতা মান নির্ধারণ হয়েছিল সেখানে বলা ছিল, প্রার্থীকে স্নাতক হতে হবে এবং সঙ্গে এনসিটিই গাইডলাইন অনুয়ায়ী বিএড ট্রেনিং থাকতে হবে । মামলাকারীর অভিযোগ, আরটিআই করে তিনি জানতে পেরেছেন মেহেবুব হোসেন নামের একজন প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকে 45 শতাংশের থেকেও কম নম্বর পেলেও তিনি চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ।
আরও পড়ুন : গ্রুপ-ডির পর গ্রুপ-সি মামলাতেও অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন
মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানান, 2014 সালের নভেম্বর মাসে এনসিটিই'র বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী স্পোর্টস সার্টিফিকেট ছিল ওই প্রার্থীর । কিন্তু মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বলেন, "এই নিয়োগের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল 2014 সালের 15 ফেব্রুয়ারি । ফলে তার পর এনসিটিই যদি কোনও বিজ্ঞপ্তি দিয়েও থাকে এই নিয়োগের ব্যাপারে সেটা প্রযোজ্য হয় কি করে?" মামলাটি ফের শুনানি হবে আগামী 23 ডিসেম্বর । এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এই মামলার ফলের উপর তা আগেই জানিয়েছেন বিচারপতি ৷