কলকাতা, 16 নভেম্বর: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ আনলেন এক পড়ুয়া (Aliah University Student Allegedly Ragging by TMCP) ৷ যে ঘটনায় টেকনোসিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত কলেজ পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ ইকবাল ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, পুরনো একটি ঘটনায় বিতর্কের জেরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের বি.এড-এর ছাত্র রহিম শেখ গত 13 নভেম্বর মাঝরাতে 25-30 জনকে নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন ৷ সবাই মিলে তাঁর পেটে কিল, ঘুষি মারে ৷ চড়ও মারা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে মহম্মদ আসিফ ইকবাল ৷
ওই রাতের ঘটনা নিয়ে আসিফ অভিযোগ জানিয়েছে, রহিম শেখ এবং জনা তিরিশেক ছেলে হস্টেলের আটতলায় পৌঁছায় ৷ সেখানে তাঁকে একটি অন্ধকার ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন আসিফ ৷ তিনি অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, ‘‘আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও গালাগালি দেওয়া হয় ৷ আমি জুনিয়র ছেলে হয়ে সহবত জানিনা এবং তাঁদের সম্মান করি না কেন, এই বলে আমার উপর ব়্যাগিং শুরু হয় ৷’’
আসিফ অভিযোগ করেছেন, কিছুক্ষণ পর ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷ এর পর হাবিব সারওয়ার নামে একটি ছেলে তাঁর মাথায় লোহার রড় দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে ৷ সঠিক সময়ে সরে যাওয়ায়, সেটি আসিফের হাতে লাগে ৷ হঠাৎ করে এমন ঘটনা কেন ? এনিয়ে অভিযোগে আসিফ দাবি করেছে, কলেজের একটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে রহিম শেখের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়েছিল ৷ এমনকি গালাগালিও দেয় একে অপরকে ৷ সেই কারণেই, তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আসিফ ইকবাল ৷
আরও পড়ুন: মারধর, ছুরি নিয়ে ভয় দেখানো ! ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তেজনা মেদিনীপুরের গার্লস স্কুলে
যদিও পুরো ঘটনায় হোয়াটসঅ্যাপে কথা কাটাকাটি ও গালাগালির কথা স্বীকার করলেও, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রহিম শেখ ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা রহিমের যুক্তি, ‘‘তাঁরা 25-30 জন মিলে মারধর করলে একজন কীভাবে বেঁচে থাকেন ?’’ তাঁর দাবি, আসিফ ইকবালকে গালাগালি করায় সতর্ক করা হয়েছে ৷ এমনকি ঘটনাটি মিটেও গিয়েছে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ৷ এই ঘটনায় অন্যদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ছাত্রনেতারা রহিম শেখের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে ৷