কলকাতা, 2 নভেম্বর : ফের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হল এক আল কায়দা জঙ্গিকে । NIA-র দিল্লির বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে আবদুল মোমিন মণ্ডল নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
32 বছরের ধৃত আবদুল মোমিন মণ্ডলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার নজরানা গ্রামে । সে রাইপুর দারুর হুদা ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করত । আল-কায়েদার মডিউলের সদস্যদের ডাকা একাধিক ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকে সে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে । এই গ্রুপের জন্য নতুন সদস্যদের নিয়োগেরও চেষ্টা করছিল সে । এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল । অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে । পাশাপাশি বাড়ির সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । আজ অভিযুক্ত আবদুল মোমিন মণ্ডলকে মুর্শিদাবাদের জেলা আদালতে তোলা হয় । ট্রানজ়িট রিমান্ডে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে ।
সেপ্টেম্বরে এই রাজ্যের মুর্শিদাবাদ এবং কেরালার এর্নাকুলাম থেকে 9 আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে NIA । গোয়েন্দারা রাতভর অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হন । তাদের মধ্যে 6 জন মুর্শিদাবাদের । এই জঙ্গি মডিউলের ভারতে হামলার পরিকল্পনা ছিল । মূলত দিল্লিতে হামলার পরিকল্পনা ছকা হচ্ছিল বলে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে জানতে পেরেছিল NIA । সেই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে দায়ের হয় মামলা (RC case no-31/2020/NIA/DLI)। সেই মামলার সূত্র ধরেই আবদুল মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
মুর্শিদাবাদের ছয় জঙ্গি নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা । নাজমুস সাকিবের বাড়ি ডোমকলে । ডোমকলের বসন্তপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে । জলঙ্গির ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা আতিউর রহমানও কলেজ পড়ুয়া । সে নদিয়ার করিমপুরে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র । এই দুজনের বাড়ি থেকেই মোবাইল, ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা । জলঙ্গির মধুবনা গ্রামের বাসিন্দা মইনুল পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক । কাজ করত কেরালায় । শৌচাগার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা । মইনুলের মতই মামুনও পরিযায়ী শ্রমিক । ডোমকলের রায়পুর- নাড্ডাপাড়ায় বাড়ি তার । বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত । অবশ্য বছর দুয়েক আগে বাড়ি ফিরে আসে । তারপর থেকে কখনও গাড়ি চালাত, কখনও আবার রাজমিস্ত্রির কাজ করত । আবু সুফিয়ানের বাড়িও ডোমকলে । দিল্লিতে দীর্ঘদিন কাজ করার পর সম্প্রতি বাড়ি ফিরে একটি লেদ কারখানা তৈরি করে ।
ধৃতরা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট চ্যাট গ্রুপের মেম্বার বলে জানিয়েছিল NIA । সেই চ্যাট গ্রুপের নাম ছিল গাজওয়াতুল হিন্দ ।