কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা থিমের মাধ্যমে শুরু হল সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সম্মেলন (All India Agricultural Workers Union)। বুধবার হাওড়ার শরৎ সদনে সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এ বিজয় রাঘবন পতাকা উত্তোলন করেন । শহিদ বেদীতে মাল্যদান কর্মসূচির আগে 5টি জায়গা থেকে মশাল আসে । শোক প্রস্তাব পাঠ করেন অমিয় পাত্র । সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য উদ্বোধনী ভাষণ দেন । 18 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সম্মেলন । ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন সম্মেলনে । 17 ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ হাওড়ায় । সেখানে বক্তব্য রাখবেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ।
সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, "তিন দশকের বেশি সময় ধরে দেশে কৃষির ওপর আক্রমণ মারাত্মক বেড়েছে । প্রান্তিকতম অংশের খেতমজুররা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত । একশো দিনের কাজে বরাদ্দ কমায় বিপদ আরও বেড়েছে । বাংলায় এক বছর ধরে রেগায় কাজ নেই, মজুরি নেই । আবাস যোজনায় গ্রামের গরিব মানুষের নাম বাদ পড়েছে । রেগায় কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে।"
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেন, "সারা দেশে কৃষিকাজ কমে গিয়েছে । কেন্দ্রের বিজেপি সরকার
নানা ভাবে কৃষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে । কৃষক তার চাষ করা ফসলের প্রকৃত দাম পাচ্ছে না । ফলে কৃষি কাজে আগ্রহও কমছে সাধারণ মানুষের । একই ভাবে রাসায়নিক সারের দাম বাড়ছে । কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চক্রান্ত করে কৃষক খেতমজুরদের শোষণ চালাচ্ছে ।"
আরও পডুন : সিপিএম-কংগ্রেস-মোথা 'ট্রিপল ট্রাবল' ! ত্রিপুরায় শাহি ভাষণে 'নেই' তৃণমূল
সংগঠনগুলির অভিযোগ, সরকারে কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি । বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে যাচ্ছেন কৃষকরা । সারা ভারত কিষান সভার সহ-সভাপতি হান্নান মোল্লা বলেন, " নতুন 2023-24 আর্থিক বছরের বাজেটে দেশের গরিব মানুষকে ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ বিশেষ করে এর ফলে গরিব চাষিদের দুরবস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে ৷ কিছু কর্পোরেট বন্ধুর স্বার্থে মোদি সরকার এসব করছে ।" কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এবারের বাজেটে যেভাবে খাদ্যে ভর্তুকি, 100 দিনের কাজে বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা চরম আর্থিক বিড়ম্বনায় ফেলতে চলেছে দেশের গরিব মানুষ ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে।