কলকাতা, 8 জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার থেকেই কলেজের (Dr R Ahmed Dental College and Hospital) হবু ডাক্তাররা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাছিলেন ৷ সেদিন থেকেই ঘেরাও ছিলেন অধ্যক্ষ ৷ তাঁদের মূলত দাবি ছিল, দীর্ঘদিন ধরে হস্টেল সমস্যার সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ইন্টার্নরা গতকাল থেকে হাউস স্টাফে পরিণত হয়েছে। প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের হস্টেলের প্রয়োজন তাই হাউস স্টাফ হলে তাঁদের হস্টেল পাওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। অবশেষে তিন দিন পর After 3 Days Dental College Intern Movement Withdrawal) ঘেরাও মুক্ত হলেন অধ্যক্ষ ৷
সেদিন থেকে চলা আন্দোলনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্য আসে ৷ সেখানে দেখা যায় আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করছেন ৷ বেশ কিছু বিভাগীয় প্রধানরা এসেছিলেন হস্টেল সমস্যা মেটাতে কোনও লাভ হয়নি ৷ তাঁরা সেদিনই রাত 12টায় ফিরে যান ৷ একাধিকবার তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তবে সেখানেও মেলেনি কোনও উত্তর। বেশ কিছু বছর ধরেই এই সমস্যা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে গত ডিসেম্বর মাসের দুই তারিখ প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন পড়ুয়ারা। তাঁরা সেদিনই জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না-হলে আগামিদিনেও পড়ুয়ারা একই সমস্যার সম্মুখীন হবেন। অবশেষে রবিবার সকালে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । এমনটাই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: অনশন তুললেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা, নির্বাচন হবে বাইশেই
আন্দোলনকারীদের মতে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্নদের হস্টেল ছাড়ার যে কথা বলেছিলেন তা তুলে নিয়েছেন ৷ এছাড়াও প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে হস্টেলের ব্যবস্থা করবে। তবে আন্দোলনকারীরা এও জানিয়েছেন যদি এক সপ্তাহের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তা না-করতে পারে তবে ফের আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতেও আন্দোলন করেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ৷ আন্দোলকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও ৷ সেই সঙ্গে সমাজের বিশিষ্টরাও ছিলেন কলকাতা মেডিক্যালের পড়ুয়াদের সঙ্গে ৷ শেষমেশ তাঁদের এই দাবি মেনে নিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৷