কলকাতা, 21 মার্চ: আধার ও প্যান কার্ড লিংক করাতে এবার থেকে খসাতে হবে গ্য়াটের কড়ি ৷ তাও আবার কড়-কড়ে 1000 টাকা ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার থেকে নির্দিষ্ট মূল্যের জরিমানার বিনিময়েই করা যাবে আধার ও প্যান কার্ডের লিংক ৷ আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের সংযুক্তির ক্ষেত্রে এই জরিমানা লাঘব করার জন্য এবং সময়সীমা বৃদ্ধি করতে এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ৷
আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের সংযুক্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেকেই আধারের সঙ্গে প্যানের লিংক করায়নি ৷ এবার সেক্ষেত্রেই জরিমানা (Fine) ধার্য করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন থেকে আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড লিংক করাতে হলে হাজার টাকা গুনতে হবে ৷ যার জেরেই বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। এই সমস্যার সমাধান করতেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister of India) নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ৷ তিনি জানান, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আধার কার্ড ও প্যান কার্ড লিংক করানোর সুযোগ করে দেওয়া উচিত ৷
চিঠিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Choudhwri) প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন, "অর্থমন্ত্রক এবং রাজস্ব বিভাগকে সমস্ত স্থানীয় ও সাব পোস্ট অফিসকে ক্ষমতায়ণের জন্য নির্দেশ দিন। যাতে স্থানীয় মানুষজন তাদের প্যান কার্ড বিনামূল্যে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করাতে পারেন ।" একই সঙ্গে দুই কার্ডের সংযুক্তিকরণের সময়সীমাও আগামী ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী ৷
নতুন ধার্য হওয়া জরিমানা নিয়ে দিশেহারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই অন্যান্য রাজ্যের মানুষরাও । প্যান কার্ড ও আধার কার্ডের সংযুক্তিতে জরিমানার ব্যবস্থা করায় সকলেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ৷ কারণ হিসাবে আমজনতার অভিযোগ, শুধু 1000 টাকা জরিমানা দিলেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না । সঙ্গে সাইবার ক্যাফে অথবা অন্যের থেকে অনলাইনে আধার ও প্যানের মধ্যে লিংক করতে গিয়ে আরও বেশ কিছু অর্থ দণ্ড হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে প্রসেসিং চার্জও দিতে হচ্ছে । যে টাকার পরিমাণ কোথাও 50 তো কেউ নিচ্ছেন 100 টাকা ।
আরও পড়ুন: সিবিআই-ইডির ডিরেক্টরদের বিজেপির লোকাল প্রেসিডেন্ট বলে কটাক্ষ মমতার
এই সব বিষয়েই সমাধান চেয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী । চিঠিতে প্রধামন্ত্রীকে লিখেছেন, "বহু মানুষ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করে । যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা খুবই কম পাওয়া যায় । অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গ্রামীণ ভারতের সেই নিরীহ নাগরিকদের কাছ থেকে তাদের ফি-র টাকা নিয়ে তোলাবাজি শুরু করেছে । এটি নাগরিক সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক ।"