কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: অবশেষে জট কাটল তাজপুর পোর্টের (Tajpur Port) । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আদানি গোষ্ঠী এই পোর্টের দায়িত্ব পাচ্ছে। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এবার ধাপে ধাপে এই বন্দর তৈরির কাজ শুরু হবে।
এদিন মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Minister Firhad Hakim)। একইসঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে (Adani Group on Tajpur Port)।
প্রসঙ্গত, এবছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই তাজপুর বন্দরে আদানিদের বিনিয়োগ নিয়ে কথা চলছিল। এই দিন মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতভাবে এই প্রকল্প আদানিদের দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারাই নির্মাণের পর যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে ওই বন্দরে কর্মসংস্থানের দায়িত্ব তাদেরই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শীঘ্রই আদানিদের হাতে 'লেটার অফ ইনটেন্ড' তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের
তাজপুরে এই সমুদ্রবন্দরটি নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব অনেক দিনের। কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য টালবাহানায় তা আটকে ছিল দীর্ঘদিন। অবশেষে রাজ্য জানায় তারাই এই বন্দরের জন্য জমি দেবে। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র চাওয়া হয়। এরপর একাধিক দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে থেকেই আদানি গোষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।
কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে এসে রাজ্য আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি 10 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগেরও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বন্দর নির্মাণে বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি। অবশেষে ধোঁয়াশা কাটল। মন্ত্রী ফিরহাদ জানিয়েছেন, আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন এই বন্দরটি নির্মাণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করবে। জানা গিয়েছে 25 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তৈরি হবে এই সমুদ্র বন্দর । প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ হবে 15 হাজার কোটি টাকা । পরবর্তীতে আরও 10 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে । এই প্রকল্পে কর্ম সংস্থান হবে 25 হাজার মানুষের।