কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: কলকাতা উৎসবের শহর ৷ তা সে দুর্গাপুজো হোক বা ক্রিসমাস ৷ মহম্মদ আলি পার্ক থেকে শুরু করে পার্কস্ট্রিট, উৎসবে মানুষের ঢল নামে তিলত্তমার বিভিন্ন অলিগলিতে ৷ ঠিক যেমন শীতের মিঠে রোদ গায়ে লাগিয়ে অনেকেই বড়দিনে হাজির হন চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া ৷ সর্বত্রই এদিন মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ের তালিকায় কোনভাবে পিছনের সারিতে নেই ইকোপার্কও । শীতের মিঠে রোদ্দুর পিঠে নিয়ে 8 থেকে 80 সকলেই ইকো পার্কে হাজির। দেখা মিলল প্রায় 50 হাজার দর্শকের ৷ চিড়িয়াখানাতেও ভিড় ছিল 60 হাজারের বেশি ৷
সোমবার দিনভর ইকোপার্কের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের আনন্দের ছোট ছোট কোলাজ ধরা পড়েছে । বোটিং থেকে শুরু করে ট্রয় ট্রেন সবেতেই ছিল লম্বা লাইন । আবার কেউ কেউ ইকো পার্কের সুদুর বিস্তৃত মাঠ বা ফুলের বাগানগুলিকে বেছে নিয়েছেন পিকনিকের আদর্শ জায়গা হিসেবে । ঠিক এভাবেই হাবরা থেকে হাজির হয়েছিলেন পাপ্পু দাস, বিলাস হালদাররা । বছরের আর পাঁচটা দিন কর্মব্যস্ততার জন্য কোথাও বেরোনো হয় না । এই দিনটিকে তাই তাঁরা বেছে নিয়েছেন একটু আউটিং-এর জন্য । এদিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিলাস হালদার বলেন, "সারা বছর কাজ করি, পরিবারকে নিয়ে বেরোনোর সময় না। 25 ডিসেম্বর আমার কাছে একটু অবসর যাপনের সুযোগ এনে দিয়েছে ।""
প্রায় একই ধরনের কথা শোনা গেল পেশায় ব্যবসায়ী পাপ্পু দাসের গলাতেও । বিশেষত, সেভেন ওয়ান্ডার্স-এর বিভিন্ন সংস্করণগুলি দেখার পর তিনি বলেন, "হয়তো দিল্লিতে গিয়ে আগ্রার তাজমহল দেখার সময় হবে না তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই আজকের দিনে এখানে এলাম ।" যাত্রাগাছির বাসিন্দা হাবিবুর শেখ বলেন, "প্রত্যেক বছর ইকোপার্কে প্রচুর মানুষ আসে । আমারও ইচ্ছা ছিল পরিবারকে নিয়ে আসব । এতদিনে সেই ইচ্ছা পূরণ হল । তবে আজ এত ভিড় একান্তভাবে সময় কাটানোর বিশেষ সুযোগ এখানে নেই ।"
আরও পড়ুন: