খড়গপুর, 4 ফেব্রুয়ারি: কেশপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশ (Abhishek Banerjee brushes up his Public Relation) । তার আগে ফের জনসংযোগে জোর দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । সভাস্থলে পৌঁছনোর আগেই গাড়ি থেকে নেমে গেলেন দলের সেকেন্ড-ইন কম্যান্ড । অভাব অভিযোগ শুনলেন বড়কলা এলাকার গ্রামবাসীদের (Abhishek Meeting at Keshpur) ।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেশপুরের আনন্দপুরে সমাবেশ করতে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এই সমাবেশের আগে এদিন খড়গপুর এলাকার বড়কলা ও মাতকাতপুর এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি । তাদের অভাব-অভিযোগ শুনলেন, আশ্বাসবাণীও শোনালেন । এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে নিজেদের বাড়িঘরের জায়গার পাট্টার সমস্যার কথা শোনালেন গ্রামবাসীরা । পাশাপাশি বালি খাদান, জমিজমা সঙ্গে জলেরও সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করলেন সাংসদের কাছে ।
আরও পড়ুন: কেশপুরে অভিষেকের সভা থেকেই হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল
বিভিন্ন ঘটনায় ইতিমধ্যেই কোণঠাসা ঘাসফুল শিবির । এই সময় দলের হারানো জমি উদ্ধারে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । কেশপুরের সভা থেকে এদিন পুরোদমে কর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ করে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসাবে পরিচিত, সেখানেই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে আসন ছিনিয়ে আনতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল । ফলে এদিনের এই সভার তাৎপর্য বিরাট ৷
রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আগামিকালের এই সভাতে একটা বড় চমক অপেক্ষা করছে । কী সেই চমক ! কয়েকদিন আগেই এই জেলার এক বিধায়কের ছবি ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল । এরপর তা নিয়ে অবশ্য কম জলঘোলা হয়নি । এই অবস্থায় জেলা তৃণমূলের বলা এই চমক আসলে কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । তবে এ বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এসেছে রাজ্যের শাসক দল ।
এদিন সভা হল আনন্দপুরে । এই এলাকা আসলে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংগঠনিক জেলা ঘাটাল ও মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকা । গত লোকসভা ও বিধানসভার ফল দেখলে ঘাটালে বিজেপির প্রভাব বাড়লেও শাসক শিবির শক্তিশালী । অন্যদিকে মেদিনীপুরে বিজেপির সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী ৷ সেখান থেকেই এদিন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড দলকে দুর্নীতির আগল থেকে বের করতে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালালেন । সভামঞ্চে তিনজনকে ডাকেন অভিষেক ৷ তাঁদের দেখিয়ে অভিষেক জানান, তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা সৎ ৷ আগামিদিনে সৎ ব্যক্তিরাই প্রার্থী হবেন ঘাসফুল প্রতীকে ৷