কলকাতা, 6 জুন : সুব্রত বক্সিকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা ভালোভাবেই জানেন, বাইরে থেকে কঠিন হলেও মানুষটা বরাবরই আবেগপ্রবণ । রবিবার অভিষেকের তাঁর বাড়িতে যাওয়া তাঁকে আরও বেশি আবেগঘন করে তুলল । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ নির্দ্বিধায় তিনি ছেড়ে দিয়েছেন । বরাবরই দলনেত্রীর বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে পরিচিত সুব্রত বক্সি কখনওই তাঁর ক্ষোভ-রাগ-অভিমান বাইরে প্রকাশ করেননি । আপাদমস্তক দলসর্বস্ব এই মানুষটি দলনেত্রী যা বলেছেন তা মেনে নিয়েছেন এক বাক্যে ।
দলনেত্রীর নির্দেশেই তাঁকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিতে হয়েছিল । যেদিন মুখ্যমন্ত্রী এই গোটা বিষয়টি ঘোষণা করছেন সেদিনও তাঁর চোখেমুখে এতোটুকু দুঃখের অভিব্যক্তি ছিল না । বরং ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছিলেন, ঠিক যেভাবে দলনেত্রীর সঙ্গে থেকেছেন, এবার সন্তানতুল্য অভিষেকের পাশেও থাকবেন । কিন্তু রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিকেলে তাঁর বাড়িতে পৌঁছান, তখন আর তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সুব্রত বক্সি ।
আগেই ইটিভি ভারতকে তিনি জানিয়েছিলেন, সন্তানতুল্য অভিষেককে সবরকম সাহায্য করবেন । কিন্তু অভিষেককে সামনে পেয়ে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি বক্সি । তখন তাঁর চোখে জল । গত ডিসেম্বরেও এভাবে বক্সির চোখে জল দেখা গিয়েছিল । সে সময় ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা হঠাৎই বলেন, অনেকে তাঁর মৃত্যুকামনা করছে । কারণ, তিনি মারা গেলে তাঁরা তাঁর চেয়ারে (মুখ্যমন্ত্রীর পদে) বসতে পারবে ! এই কথা শুনে সে সময় আবেগ বশে থাকেনি এই প্রবীণ নেতার ।
আরও পড়ুন : পিসি একা নন, সঙ্গে ভাইপোও; অভিষেকের উত্তরণ ঘটিয়ে মমতার কুশলী চাল
তবে রবিবারের কান্না ছিল আলাদা । এ কান্না স্নেহের । যে অভিষেককে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছেন । তার হাতে উত্তরাধিকার সঁপে দিয়ে এ কান্না অভিভাবকের আনন্দের । সুব্রত বক্সির বাড়ির পর এরপর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান অভিষেক ৷ প্রবীণ এই নেতারাও আশির্বাদ নেন ৷ পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, অভিষেকের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷