কলকাতা, 5 মে : প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ আনলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতিকে ই-মেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি । ছাত্রীর কথায়, গত বছর মে মাসে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তাঁরা। সেখানে ঘনিষ্ঠ হন । এরপর ওই ছাত্র তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন । একাধিকবার না বলায় তাঁর সঙ্গে আর কিছু করা হয়নি । রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষমতাশালী হওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তিনি । সম্প্রতি ওই ছাত্র অন্য এক ছাত্রীর সঙ্গে একইভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন । তা জানতে পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি । যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ।
ই-মেইলে ছাত্রী জানিয়েছেন, গত বছর মে মাসে দু'জনের মধ্যে কথা শুরু হয় । তাঁরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান । সেখানে দু'জনে ঘনিষ্ঠ হন । এরপর তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা বলা হয় । তিনি 20 বারের উপর না বলায় ওই ছাত্র থেমে যান । কিন্তু, প্রায় ১ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ এখন কেন ? ETV ভারতের প্রতিনিধিকে ওই ছাত্রী বলেন, "ইভেন্টটা আমি আর বর্ণনা করতে চাই না। এতদিন চুপ ছিলাম কারণ প্রথমত, একটা ট্রমা কাজ করছিল। দ্বিতীয়ত, আমার বন্ধুরা ডিসকারেজ করেছিল। তারা বলেছিল যেহেতু ও একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাই ক্ষমতা বেশি । ক্যাম্পাসে অনেকদিন ধরে চেনে। আমি অভিযোগ করলে প্রেসিডেন্সিতে টিকতে পারব না । ভয় পেয়ে যাই । কারণ, আমি এখানে গ্র্যাজুয়েশন করিনি । মাস্টার্সই করছি । কী হতে পারে সেই ভয়ে কাউকে কিছু বলে উঠতে পারিনি ।"
এখন ঘটনাটি সামনে আসার কারণ কী ? তিনি বলেন, "আমি ব্যাপারটা নিয়ে প্রথম লিখি । আমার পরে অনেকেই ওর ব্যাপারে লিখেছে । আরও তিনজন তো লিখেছে নাম নিয়ে । নাম ছাড়াও এক দু'জন নিজেদের ন্যারেটিভ রেখেছে সামনে । একই রকমের অভিযোগ ।" পুলিশের কাছে কি অভিযোগ করবেন ? বলেন, "পুলিশের কাছে যাওয়া নিয়ে এখনও সেই ভাবে কিছু ভাবিনি । যেতেই পারি । আগে আমাদের প্রেসিডেন্সির মধ্যে স্টেপ নিতে চাই। ওই জন্যই ডিনকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি ।" ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে ডিন অফ স্টুডেন্টসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।
অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ অভিযুক্ত ছাত্র। তিনি বলেন, "আমার আপাতত কিছু বলার নেই। অভিযোগ সংক্রান্ত লিগাল হিয়ারিং আসবে । সেখানেই যা বলার বলব ।"