কলকাতা, 5 মে: আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক । বলা ভালো দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাওড়ার দ্বিগুণেরও বেশি । কলকাতায় প্রতিদিন বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এই মুহূর্তে কলকাতায় সক্রিয় কোরোনা রোগীর সংখ্যা 463 জন । গতকাল নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন 24 জন । তারপরেও কলকাতার একশ্রেণির মানুষের হুঁশ নেই । তাঁরা অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন । মানছেন না লকডাউন। অবশ্য কলকাতা পুলিশ বসে নেই । গতকাল লকডাউন অমান্য করায় 605 জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশি ।
রাজ্য সরকারের হিসাব বলছে, কলকাতায় এখনও পর্যন্ত কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 659 জন । তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন 109 জন । মৃত্যু হয়েছে 87 জনের । এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 463 । তার জেরে এই মুহূর্তে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 312 । অথচ কলকাতাবাসীর একাংশ সেসব মানছেন না ।
বেলেঘাটা চত্বরে চেকিংয়ের ডিউটিতে থাকা এক পুলিশকর্মীর অভিজ্ঞতা অদ্ভুত রকমের । এক যুবকের বাইকের হ্যান্ডেলে ঝোলানো ছিল বাজারের ব্যাগ । নাকা চেকিংয়ে তাঁকে দাঁড় করানোয় রীতিমতো ঝাঁঝিয়ে ওঠেন । "আপনাদের জন্য কি বাজারেও যেতে পারব না?" লাইসেন্স খতিয়ে দেখে জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি গিরিশ পার্কে । আর ব্যাগে পাওয়া যায় 1 কেজি চিনি । ওই যুবক নাকি গিরিশ পার্ক থেকে বেলেঘাটা এসেছিলেন এক কেজি চিনি কিনতে!
এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে উত্তর, দক্ষিণ-পূর্ব, পশ্চিম সবদিকের ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের । কেউ কুড়ি টাকার মিষ্টির প্যাকেট ঝুলিয়ে ভবানীপুর থেকে চলে আসছেন শোভাবাজার । কেউ সবজির ব্যাগ ঝুলিয়ে মানিকতলা থেকে চলে যাচ্ছেন বেকবাগান । আবার অনেক গাড়িতেও এমনটা পাওয়া গেছে । এই সমস্ত মানুষকে নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছে পুলিশ । গতকাল মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে 115জনকে । থুতু ফেলার জন্য গ্রেপ্তারের সংখ্যা 46 । আর গাড়ি সিজ় করা হয়েছে 23টি ।
