কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: রাজ্যে ফের করোনার থাবা ৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি 4 জন ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে দিন দুই আগে ভর্তি করা হয় নিউমোনিয়া ও মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত এক শিশুকে ৷ সে বিহারের বাসিন্দা ৷ শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকায় নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই শিশুর কোভিড পরীক্ষা করা হয় ৷ তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷
অন্যদিকে, শহরের দুই বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগ ও ম্যালেরিয়া নিয়ে ভর্তি রোগীদের শরীরেও হানা দিয়েছে করোনা ৷ তবে সেগুলি করোনার ভাইরাসের জেএন.1 ভ্যারিয়েন্ট কি না, তা জানতে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে ৷ নমুনা কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হবে। তারপরই জানা যাবে এই তিনজনের শরীরে করোনার নতুন রূপ আছে কিনা।
এরপর শুক্রবার সকালেও আরও এক করোনা আক্রান্তর খবর মিলল। তিনি দক্ষিণ কলকাতার মিডলটন রো এর বাসিন্দা। ৩ ডিসেম্বর জ্বর নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে জ্বর না কমায় কোভিড টেস্ট করা হয়। তাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এবার জেনোম সিকোয়েন্সিয়ে পাঠানো হবে এই সমস্ত স্যাম্পল। তারপরই বোঝা যাবে এই চারজন নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "করোনা যে নেই, তা তো কখনও বলা হয়নি ৷ আচমকা করোনাতে তিন জন আক্রান্ত হলেন, তেমনটা নয় ৷ ওই তিন জনের শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না, সেটা দেখতে নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে ৷" এই অবস্থায় নবান্নে মুখ্য সচিবের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের দু'বার বৈঠক হয়েছে ৷ যদিও রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য ভবন কারও তরফেই কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি ৷
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে মোট 193 জনের আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়েছে ৷ তবে কারও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি ৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার কেরলে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে 300 জন ৷ করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে । চিকিৎসকদের পরামর্শ, মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার ফিরিয়ে আনতে হবে ৷ দেশের কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সেই পথ অবলম্বন করেছে। তবে সতর্ক হতে বললেও করোনা নিয়ে এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ আছে বলে মনে করছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। করোনার নতুন এই রূপ সংক্রমণের কারণ হলেও তা ততটা প্রাণঘাতী নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: