কলকাতা, 23 অগাস্ট : যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের পর এবার দ্বিতীয় শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু হল গড়ফায় । এতদিন শ্রমজীবী ক্যান্টিনের নিজস্ব কোনও রান্নাঘর ছিল না । আজ নতুন এবং স্থায়ী রান্নাঘর তৈরি হল শ্রমজীবী ক্যান্টিনের । 20 টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ শহরতলির মানুষ পেট ভরে খাবার পাবেন । চারটি জায়গায় শ্রমজীবী ক্যান্টিনের এই রান্নাঘর তৈরি হয়েছে । নয়াবাদ চক গড়িয়া, গড়ফা, সন্তোষপুর মেনরোড এবং মুকুন্দপুর CPI(M)-এর পার্টি অফিসে নতুন রান্নাঘরগুলি তৈরি হল । CPI(M)-এর কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহে এবং উদ্যোগে শ্রমজীবী ক্যান্টিনের কাজ চলছিল যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে । সেই কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে এই স্থায়ী রান্নাঘর তৈরি হওয়ায়, মনে করছেন উদ্যোক্তারা ।
যাদবপুর গড়ফায় গত 23 দিন ধরে এলাকার সাধারণ গরিব মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে যাদবপুর গরফার CPI(M) কর্মীরা । আজ নতুন রান্নাঘরের উদ্বোধন করলেন যাদবপুর বিধানসভার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী এবং রাজ্যসভার CPI(M) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য ।
আজ ভাত, ডাল, আলুভাজা, সয়াবিন ও ডিমের কারি খাওয়ানো হয় এলাকার মানুষদের । মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে পেট ভরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই এ এলাকার সাত জন আজ এই শ্রমজীবী ক্যান্টিনের রান্নাঘরের জন্য আর্থিক সাহায্য করেছেন । এলাকার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী এবং বিকাশ ভট্টাচার্যের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় ।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে খাবার বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের খাবার গত 145 দিন ধরে দেওয়া হচ্ছে এলাকার গরিব মানুষকে । নতুন এই রান্নাঘর থেকে গরফার এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষের জন্য আজ থেকেই নতুন উদ্যোগে উৎকৃষ্ট মানের খাবার দেওয়া হবে ।