কালিম্পং, 9 জানুয়ারি: তিস্তা বাঁধের ইনটেক গেটে কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ভিন রাজ্যের এক স্কুবা ডাইভারের । ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিম্পংয়ে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই স্কুবা ডাইভারের নাম সিদ্ধার্থ সবিতা (28) । তিনি উত্তরপ্রদেশের ডাবুপাড়া আগ্রার মোতিবাগ কলোনির বাসিন্দা । কালিম্পং জেলার কালিঝোরার রম্ভিতে অবস্থিত ন্যাশনাল হাইডেল প্রজেক্টের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন সিদ্ধার্থ । গত এক বছর ধরে এনএইচপিসিতে কর্মরত ছিলেন তিনি ।
জানা গিয়েছে, এর আগে অন্য সংস্থায় স্কুবা ডাইভিংয়ের কাজ করতেন সিদ্ধার্থ । স্কুবা ডাইভিংয়ে অভিজ্ঞতা ছিল ওই যুবকের । ভিন রাজ্যে বাড়ি হলেও কাজের সূত্রে কালিঝোরাতেই থাকছিলেন তিনি । মঙ্গলবার কালিম্পং জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ ।
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে এনএইচপিসির চার নম্বর ইনটেক গেটে মেরামতের কাজে নেমেছিলেন সিদ্ধার্থ । বাঁধে থাকা লিকেজ বন্ধ করতে স্কুবা ডাইভিং করে তিস্তার জলে নামেন তিনি । প্রায় 300 মিটার গভীরে লিকেজ ঠিক করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু লিকেজের কাজ করার সময় আচমকা নদীর জলের প্রবল চাপে বাঁধের ফাটলে আটকে যান যুবক । জলের প্রবল চাপে কোনওভাবেই আর সেখান থেকে বের হতে পারেনি তিনি ৷ প্রায় এক ঘণ্টা বাঁধের অন্যান্য কর্মীরাও তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন । তাঁকে বাঁচাতে গেট খুলে ছাড়া হয় নদীর জল । কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় না । দেড় ঘণ্টা বাদে সিদ্ধার্থর নিথর দেহ উদ্ধার হয় । তাঁর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় কালিম্পং জেলা হাসপাতালে । খবর দেওয়া হয় রম্ভি থানার পুলিশকে ।
এনএইচপিসির আধিকারিক বলবিন্দর সিং বলেন, "বাঁধের কাজের সময় ফাটলের মধ্যে আটকে পরে সিদ্ধার্থ । অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ সমস্ত উপকরণ ও সুরক্ষা নিয়েই জলে নেমেছিল সে । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফাটলের মধ্যে আটকে যায় । জলের প্রবল চাপে নিজেকে কোনওভাবে বাঁচাতে পারে না । পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবারকে সমস্তরকম সহযোগিতা করা হবে ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: