শিলিগুড়ি ও কালিম্পং, 29 জুন: পাহাড়ে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালিম্পংয়েও বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ আর বৃষ্টি শুরুর কয়েকঘণ্টার মধ্যে একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। যদিও অভয়বার্তা দিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বার্তা দিলেন যে, পর্যটকদের জন্য একেবারে বিপন্মুক্ত সিকিম। ধস বা হড়পা বানের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্শিয়াংয়ের 4 নম্বর ওয়ার্ডের ডুমারাম বস্তি, 10 নম্বর ওয়ার্ডের এমভি রোড, 19 নম্বর ওয়ার্ডের উজুরেবস্তি, 20 নম্বর ওয়ার্ডের ফটকদাঁড়া-সহ নয়াবস্তি এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি । ইতিমধ্যেই এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছেন স্থানীয় জিটিএ সভাসদ ও পৌরসভার আধিকারিকরা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরানো হয়েছে এলাকাবাসীদেরও।
এদিন ধসের ঘটনা ঘটেছে কালিম্পং জেলার পেডং ব্লকের চন্দ্রলোক, 8 মাইলের ঋষি রোড ও ভালুখোপেতেও ধসের ঘটনা ঘটেছে । ওইসব রাস্তায় ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন । সিকিমে সম্প্রতি একাধিকবার ধসের ঘটনা ঘটেছে । আটকে পড়েছেন বহু দেশি বিদেশি পর্যটক । উদ্ধারকার্যে নামে ভরতীয় সেনাও ৷ উত্তর সিকিম, পশ্চিম সিকিম, লাচেন, লাচুং, চুংথাং, ছাঙ্গু-সহ একাধিক জায়গায় ধস ও হড়পা বানের ঘটনা ঘটেছে । যে কারণে পর্যটকমহলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় পর্যটকদের আগমণ কমে যাওয়ায় উদ্বেগে সিকিম প্রশাসন ।
পর্যটন নির্ভর ওই রাজ্য জাতীয় সড়ক সহ ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপাকরিতে পাহাড়িমাতার মন্দিরে এদিন পূজো দেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে অভয় বার্তা দেন। তিনি বলেন, "এখন সমস্ত সড়ক একদম ঠিক রয়েছে। কোনও ধসের আশঙ্কা নেই। যে জায়গাগুলোয় ধসের ঘটনা ঘটেছিল সেসব জায়গায় দ্রুত কাজ করা হয়েছে। পর্যটকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই ।"