ঝাড়গ্রাম, 18 মে: "মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল বুঝবেন না । উনি আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । আমি আপনাদের বার্তা ওনার কাছে পৌঁছে দেব ।" কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে তাদের কাছে এই আবেদন করলেন পরিবেশ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া । বিনপুর 2 নম্বর ব্লকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি যাচ্ছিলেন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া । সেই সময় জামবনির মোড়ে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখে পড়েন মন্ত্রী ।
জামবনির মোড়ের কাছে হাতে হলুদ পতাকা, মাথায় হলুদ গামছা বেঁধে, 'জয় গরাম' স্লোগান দিতে থাকে কুড়মি সামাজিক সংগঠনের মানুষজনরা । উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো । গাড়ি থেকে নেমে মানস রঞ্জন ভুঁইয়া কুড়মিদের দাবি প্রসঙ্গে রাজেশ মাহাতোর সঙ্গে কথা বলতে বলেন । সিআরআই রিপোর্টে জাস্টিফিকেশনের দাবি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । মন্ত্রী তাদের কাছ থেকে দাবিপত্র নিয়ে রাখেন ।
মন্ত্রী তাঁদের বলেন ,"আমি আপনাদের সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাই । আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো । মুখ্যমন্ত্রীও খুবই সহানুভূতিশীল । বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব । আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে পারব আশা করছি । প্রত্যেকের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিত্তিতে আপনারাও আপনাদের কথা বলছেন । প্রশাসনিকভাবে চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র, রাজ্যের এই বিষয়ে ক্ষমতা নেই । তবে কী কী করণীয় পর্যালোচনা করে দেখব । কাগজপত্র পাঠাব রাজ্যের কাছে । আদিবাসী উন্নয়ন দফতর, সিআরআই দফতর নিশ্চয় পর্যালোচনা করবেন । আগামী দিনে কিছু হতে পারে সেই আশাই রইলাম । 7টা পয়েন্টের জাস্টিফিকেশন কপিটা দেবেন । পর্যালোচনার পর নিশ্চয় জানাব ।"
এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল জুড়ে । সেই ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে জঙ্গলমহলে আসা জনপ্রতিনিধিদের ঘেরাও করে তাঁদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জনপ্রতিনিধির মতামত জানা হচ্ছে । এদিনও সেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া ৷
আরও পড়ুন : চাল-ডাল দিয়েছি, বাড়াবাড়ি করলে কুড়মিদের কাপড় খুলে দেব: দিলীপ ঘোষ
