ঝাড়গ্রাম, 20 জানুয়ারি: ঝাড়গ্রামে ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম সনাতন খারওয়াল (48) । বাড়ি জামবনি থানার অন্তর্গত শালিকা গ্রামের। তাঁর মৃত্যুর 24 ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা (Financial Compensation) তুলে দেওয়া হল সনাতনের পরিবারের হাতে। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের অন্তর্গত গিধনী রেঞ্জের শালিকা গ্রামে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠনে বসে ছিলেন সনাতন খারওয়াল। সেই সময় খাবারের সন্ধানে একটি হাতি হানা দেয় সনাতনের বাড়িতে। তারপরেই হাতিটি সনাতনকে শুঁড়ের মধ্যে নিয়ে আছাড় মারে ৷
হাতি সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলে তাঁকে উদ্ধার করে ওইদিন সন্ধ্যায় সনাতনকে নিয়ে যাওয়া হয় চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে । চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন রাত দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় সনাতনের। গতকাল অর্থাৎ, মঙ্গলবার দুপুরে হাতির হানায় মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্ত হয় ঝাড়গ্রাম পুলিশ মর্গে। সনাতনের এক আত্মীয় ঝন্টু সিং বলেন, "সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোনে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে সনাতন বসে ছিলেন। জঙ্গল লাগোয়া বাড়ি হওয়ায় জঙ্গল থেকে হাতি এসে তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। হাসপাতাল নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু হয় তাঁর । ঘটনায় অসহায় হয়ে গিয়েছে সনাতনের পরিবার।"
হাতির হানায় সনাতনের মৃত্যুর ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই, মঙ্গলবার বিকেলে শালিকা গ্রামে পৌঁছন বিনপুর বিধানসভার বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা ৷ সঙ্গে যান ঝাড়গ্রামের ডিএফও শেখ ফরিদ এবং ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো । হাতির হানায় মৃত সনাতন খারওয়ালের স্ত্রী জোৎস্না খারওয়ালের হাতে 5 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বলেন, "হাতির হানায় মৃত সনাতন খারওয়ালের স্ত্রীর হাতে ক্ষতিপূরণের 5 লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: বন্য হাতির সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু গোপালস্বামীর
বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বক্ষণ জঙ্গলমহলের মানুষের পাশে রয়েছেন । হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য 5 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি সরকারি নিয়ম নীতি মেনে হাতির হানায় মৃত সনাতন খারওয়ালের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।" সনাতন খারওয়ালের পরিবারে রোজগেরে ছিলেন একমাত্র তিনিই ৷ সনাতনের স্ত্রী'র পাশপাশি একটি আট বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। আর্থিক সাহায্য পেয়ে ভবিষ্যতে তাঁদের অনেক সুবিধা হল বলে জানিয়েছেন, সনাতনের স্ত্রী ৷