ঝাড়গ্রাম , 7 অক্টোবর : প্রশাসনিক বৈঠকে ঝাড়গ্রামের কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ঝাড়গ্রামের মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , " ঝাড়গ্রামে কোরোনা পরিস্থিতি উদ্বেগের । এখানে সংক্রমণ বাড়ছে । মানুষ মাস্ক পরছে না । মাস্ক পরা অভ্যাস করতে হবে । মাস্ক না থাকলে কিনে দিতে হবে । প্রশাসনকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে । " পাশাপাশি লরি চালকদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য নির্দিষ্ট লরি স্টপেজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । এজন্য টোল প্লাজ়ায় লরির চাকার ফরেনসিক টেস্ট করতে হবে। এই বিষয়ে পুলিশকে গ্রামীণ রাস্তায় ট্রাক যাতে না ঢোকে সেই বিষয়ে দেখভালের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।
অন্যদিকে, বেআইনিভাবে বালি তোলায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী । তিনি পুলিশকে এই বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন । পাশাপাশি, জেলার উন্নয়নে রাজ্য সরকার অনেক কাজ করেছে । সেই দিকটি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , "প্রচুর গ্রামীণ রাস্তা আমরা তৈরি করেছি । মাওবাদী ছেলে-মেয়েদের মূল স্রোতে ফেরানো হয়েছে । তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে । "
এরপর জেলার উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন । বলেন , " পতিত জমিকে উর্বর করে কাজে লাগানো হচ্ছে । ছয়টি জেলায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্প তৈরি হচ্ছে । এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম । আড়াই লাখ কর্মসংস্থান হবে । সাঁওতালদের জন্য মিউজ়িয়াম হবে । সাংবাদিকদের জন্য ভবন তৈরি করা হবে । পাঁচ কাটা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে । খরচ করবে রাজ্য সরকার । " সভায় পুলিশকে আরও সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।
গতকাল খড়গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর আজ ঝাড়গ্রামে আর একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন । এই বৈঠকে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক, ঝাড়গ্রাম জেলার তিনজন বিধায়ক, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ , জেলা পরিষদের দুই মেন্টর , ঝাড়গ্রাম পৌরসভার দুইজন সদস্য , ঝাড়গ্রাম জেলার BDO ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন SDPO-সহ পুলিশের সমস্ত থানার IC ও OC-রা । এই বৈঠকের পর আজই কলকাতায় ফিরে যেতে পারেন তিনি ।