ETV Bharat / state

Lakshmi Puja 2023: এই গ্রামে কোজাগরী পূর্ণিমায় একসঙ্গে পূজিত হন লক্ষ্মী-সরস্বতী

কখনও শুনেছেন কি লক্ষ্মীপুজোর দিনেই সরস্বতী পুজো হয় ! বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি ৷ জানেন কি, 161 বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে ঝাড়গ্রামের বিনপুরে ৷ এখানে কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পূজিত হন সরস্বতীও ৷

Etv Bharat
লক্ষ্মী-সরস্বতী পুজো
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 27, 2023, 8:05 PM IST

ঝাড়গ্রামে কোজাগরী পূর্ণিমায় একসঙ্গে পূজিত হন লক্ষ্মী ও সরস্বতী

ঝাড়গ্রাম, 27 অক্টোবর: লক্ষ্মীদেবী এই গ্রামে একা আসেন না ৷ তাঁর সঙ্গে থাকেন দেবী সরস্বতীও ৷ কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনদেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে জ্ঞানের দেবী সরস্বতীরও আরাধনা করা হয় । ঝাড়গ্রামের বিনপুর 2 নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দা গ্রামে সাহা ও মণ্ডল পরিবারের উদ্যোগে এই পুজো হয়ে আসছে । 161 বছর ধরে পূর্বপুরুষের হাত দিয়ে শুরু হওয়া পুজো আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে অটুট রয়েছে । কেবলমাত্র পুজো বললে ভুল হবে, দুর্গাপুজোর থেকেও এই লক্ষ্মী-সরস্বতীর পুজোয় বেশি আনন্দে মেতে ওঠেন এই গ্রামের মানুষরা । পাঁচদিন ধরে চলা এই পুজোকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷

250 থেকে 300 কুইন্টালেরও বেশি জিলিপি বিক্রি হয় এই লক্ষ্মীপুজোয় । পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে মুরলিমোহন মণ্ডল, ভুবন মণ্ডলরা বলেন,"বিষ্ণুপুরাণ মতে নারায়ণের দুই স্ত্রী ৷ লক্ষ্মী ও সরস্বতী ৷ তাই আমরা একজনকে ছেড়ে কীভাবে আরেকজনের পুজো করতে পারি । সেই জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষের শুরু করা পুজো লক্ষ্মী-সরস্বতীকে একসঙ্গে পুজো আজও আমরা করে চলেছি । এই বছর আমাদের পুজো 161-তম বর্ষে পদার্পণ করেছে । পুজোকে কেন্দ্র করে আমরা আনন্দে মেতে উঠি । আমাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মীয়-স্বজনরা আসেন পাঁচদিন ধরে বাড়িতে থাকেন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং পুজোর আনন্দ উপভোগ করে আমরা সবাই মিলে । পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে চলে নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রা ।"

28 অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপূজা শুরু হয়ে চলবে 1 নভেম্বর পর্যন্ত । এর পাশাপাশি আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে এই পুজোর ৷ তা হল এখানকার জিলিপি । পুজো প্রাঙ্গণে কেবলমাত্র একটি জিলিপির দোকান থাকে । নিলামের মাধ্যমে সেই দোকান নিতে হয় ব্যবসায়ীকে । উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই বছর 1 লক্ষ 89 হাজার 1 টাকায় নিলাম পেয়েছে হাড়দা গ্রামেরই এক ব্যক্তি । চালগুড়ি দিয়ে তৈরি এই জিলিপির স্বাদ সবার থেকে আলাদা । প্রতি বছর 250 থেকে 300 কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয় এখানে ।

হাড়দা গ্রামের লক্ষ্মীপুজো দেখার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষের সমাগম হয় । উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাদের এবারের পুজোর বাজেট রয়েছে প্রায় 12 লক্ষ টাকা । হাড়দা গ্রামে বসবাস করি 500টি সাহা-মণ্ডল পরিবারের থেকেই এই চাঁদা দেওয়া হয় । বাইরের কারও কাছ থেকে কোনওপ্রকার চাঁদা আদায় করা হয় না । জমির উপর, পেশার উপর চাঁদা ধার্য করা হয় নিজেদের সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে । পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিনপুর থানার পুলিশ । এই পুজো দেখার জন্য বহু পর্যটক আসে বলেও জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুজোয় বাজার আগুন, চড়া দামে বিকোচ্ছে ফুল-ফল-সবজি

ঝাড়গ্রামে কোজাগরী পূর্ণিমায় একসঙ্গে পূজিত হন লক্ষ্মী ও সরস্বতী

ঝাড়গ্রাম, 27 অক্টোবর: লক্ষ্মীদেবী এই গ্রামে একা আসেন না ৷ তাঁর সঙ্গে থাকেন দেবী সরস্বতীও ৷ কোজাগরী পূর্ণিমায় ধনদেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে জ্ঞানের দেবী সরস্বতীরও আরাধনা করা হয় । ঝাড়গ্রামের বিনপুর 2 নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দা গ্রামে সাহা ও মণ্ডল পরিবারের উদ্যোগে এই পুজো হয়ে আসছে । 161 বছর ধরে পূর্বপুরুষের হাত দিয়ে শুরু হওয়া পুজো আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে অটুট রয়েছে । কেবলমাত্র পুজো বললে ভুল হবে, দুর্গাপুজোর থেকেও এই লক্ষ্মী-সরস্বতীর পুজোয় বেশি আনন্দে মেতে ওঠেন এই গ্রামের মানুষরা । পাঁচদিন ধরে চলা এই পুজোকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷

250 থেকে 300 কুইন্টালেরও বেশি জিলিপি বিক্রি হয় এই লক্ষ্মীপুজোয় । পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে মুরলিমোহন মণ্ডল, ভুবন মণ্ডলরা বলেন,"বিষ্ণুপুরাণ মতে নারায়ণের দুই স্ত্রী ৷ লক্ষ্মী ও সরস্বতী ৷ তাই আমরা একজনকে ছেড়ে কীভাবে আরেকজনের পুজো করতে পারি । সেই জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষের শুরু করা পুজো লক্ষ্মী-সরস্বতীকে একসঙ্গে পুজো আজও আমরা করে চলেছি । এই বছর আমাদের পুজো 161-তম বর্ষে পদার্পণ করেছে । পুজোকে কেন্দ্র করে আমরা আনন্দে মেতে উঠি । আমাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মীয়-স্বজনরা আসেন পাঁচদিন ধরে বাড়িতে থাকেন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং পুজোর আনন্দ উপভোগ করে আমরা সবাই মিলে । পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিন ধরে চলে নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রা ।"

28 অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপূজা শুরু হয়ে চলবে 1 নভেম্বর পর্যন্ত । এর পাশাপাশি আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে এই পুজোর ৷ তা হল এখানকার জিলিপি । পুজো প্রাঙ্গণে কেবলমাত্র একটি জিলিপির দোকান থাকে । নিলামের মাধ্যমে সেই দোকান নিতে হয় ব্যবসায়ীকে । উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই বছর 1 লক্ষ 89 হাজার 1 টাকায় নিলাম পেয়েছে হাড়দা গ্রামেরই এক ব্যক্তি । চালগুড়ি দিয়ে তৈরি এই জিলিপির স্বাদ সবার থেকে আলাদা । প্রতি বছর 250 থেকে 300 কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয় এখানে ।

হাড়দা গ্রামের লক্ষ্মীপুজো দেখার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষের সমাগম হয় । উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাদের এবারের পুজোর বাজেট রয়েছে প্রায় 12 লক্ষ টাকা । হাড়দা গ্রামে বসবাস করি 500টি সাহা-মণ্ডল পরিবারের থেকেই এই চাঁদা দেওয়া হয় । বাইরের কারও কাছ থেকে কোনওপ্রকার চাঁদা আদায় করা হয় না । জমির উপর, পেশার উপর চাঁদা ধার্য করা হয় নিজেদের সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে । পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিনপুর থানার পুলিশ । এই পুজো দেখার জন্য বহু পর্যটক আসে বলেও জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুজোয় বাজার আগুন, চড়া দামে বিকোচ্ছে ফুল-ফল-সবজি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.