ঝাড়গ্রাম, 29 মে: সংগঠনের নেতা গ্রেফতার হলেও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় কুড়মিরা । সিআইডির 10 দিনের হেফাজতের আবেদন খারিজ করে সোমবার 14 দিনের কুড়মি নেতাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত । ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে অভিষেকের কনভয়ের উপর হামলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলার তদন্তভার নিয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা ও সিআইডি ।
সোমবার ঝাড়গ্রামের এডিজে-1 আদালতে তোলা হয় গ্রেফতার হওয়া রাজেশ মাহাতো-সহ 9 জন কুড়মি নেতাকে । ঘটনার তদন্তের জন্য সিআইডির পক্ষ থেকে 9 জনের মধ্যে 7 জনকে 10 দিনের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয় । এই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত এবং অভিযুক্ত 9 জনকেই এদিন 14 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত । এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় রাজেশ মাহাতো বলেন, "আমাদের হক দমন করা হচ্ছে ৷ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করব, সিবিআই তদন্ত হোক, আমরা চাই সিবিআই তদন্ত, সিআইডি নয় । ন্যায় বিচার চাইছি । শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাই । কিন্তু আমাদের আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে, ন্যায় বিচার চাইছি । সিবিআই তদন্ত হোক সত্য সামনে আসুক । আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছি । কোনও হিংসাকে আমরা সমর্থন করি না । আমাদের এই সমাজ আন্দোলন 73 বছর সাংবিধানিক বঞ্চনার জন্য শান্তিপূর্ণ লড়াই । আমাদের এই লড়াই চলতে থাকবে । শুধু আন্দোলনকে নয়, আমাদের একটা জাতিকে শেষ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে । আমরা ঘটনার নিন্দা করেছি ।"
সরকারি আইনজীবী ঝাড়গ্রাম প্রশান্ত রায় বলেন, "ধৃত 9 জনের মধ্যে 7 জনকে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল । বিচারক তা খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।" অভিযুক্তের পক্ষে আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল বলেন, "সিবিআই হেফাজত খারিজ করে দিয়ে 12 জুনের মধ্যে কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত ।"
আরও পড়ুন : কুড়মি আন্দোলনের মূল নেতা রাজেশ মাহাতো-সহ গ্রেফতার 4, ধৃতদের একদিনের জেল আদালত
এদিনও আদালত চত্বরে হলুদ পতাকা নিয়ে জমায়েত করেছিল কুড়মি সামাজিক সংগঠনের মানুষজনেরা । আদালতের বাইরে থেকে শুরু করে জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন করে । আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়েছিলেন কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতোর স্ত্রী মিতা মাহাতো ৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উনি সিবিআই তদন্তের দাবি করেন ।