ঝাড়গ্রাম, 15 মে : ন্যূনতম বেতনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা ৷ অথচ ঠিকমতো বেতন দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের । বেতন বৈষম্যের এই অভিযোগ তুলে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবা প্রদানের কাজে যুক্ত বেসরকারি সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখালেন ।
বেসরকারি সংস্থার এক ফেসিলিটি ম্যানেজার ও একজন সুপার ভাইজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় । বিক্ষোভ চলাকালীন এক কর্মী অসুস্থ হয়ে ভর্তি রয়েছেন । ঠিকা কর্মীদের এমন আন্দোলনের ফলে এদিন হাসপাতালে পরিষেবার কাজ ভীষণ রকম বিঘ্নিত হয় ।
বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের অবশ্য অভিযোগ, নতুন নিয়মে এখন প্রতি মাসে তাঁদের 26 দিনের কাজ করানো হচ্ছে । মাসে চারদিন ছুটি পাচ্ছেন কর্মীরা । কিন্তু চলতি মাসে প্রত্যেককে কম বেতন দেওয়া হয়েছে । কর্মীদের সঠিক বেতন হার কত, সেটা জানানো হচ্ছে না ।
ঠিকা কর্মীদের দাবি, সুপার ভাইজাররা জানিয়েছিলেন যে 26 দিনের কাজ করলে 30 দিনের বেতন দেওয়া হবে । এমনকী, ছুটির দিনে কাজ করলে দ্বিগুন হারে বেতন মিলবে । কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি । উল্টে বেতন কাটা যাচ্ছে তাঁদের । বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে কর্মীদের অন্য জায়গায় বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : ছেলের বউভাতের অনুষ্ঠান বাতিল করে অ্যাম্বুলেন্স দান ব্যবসায়ীর
হাসপাতালের ঠিকাদারী কর্মী সোমা দাস-নীলিমা সিংহরা জানান, সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে না ৷ তার উপর বেতন কেটে নিচ্ছে তাঁদের । প্রতিবাদ করলে অন্য হাসপাতলে ভর্তি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে । যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ঠিকাদারি সংস্থার কর্তারা ।