ঝাড়গ্রাম, 19 ফেব্রুয়ারি : ঝাড়গ্রামে মহিলা কনস্টেবলের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বামী । মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ভবতোষ মাহাতকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ । গতকাল অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চার দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন ৷
রবিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর টাটানগর শাখায় সরডিহা রেল স্টেশন সংলগ্ন ধাতকিনালা গ্রামের কাছে এক মহিলা কনস্টেবলের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার হয় । ঘটনার দিনই মৃতার স্বামী ভবতোষ একটি সুইসাইড নোট দেখিয়ে দাবি করেছিল, তার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য এক পুলিশকর্মী দায়ি । যদিও পুলিশ জানিয়েছিল সুইসাইডনোটে যে পুলিশকর্মীর নাম ছিল, সেই নামের কোনও পুলিশকর্মী মানিকপাড়া বিট হাউস কিংবা ওই মহিলা যে থানায় কর্মরত ছিলেন অর্থাৎ সাঁকরাইল থানাতে নেই ।
ঘটনার একদিন পর অর্থাৎ মঙ্গলবার মৃতার মা মাধবী মাহাত ভবতোষের নামে ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এই ঘটনার পিছনে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোক জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করা হত । মাধবী দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ । এরপর গতকাল তাঁর স্বামী ভবতোষ মাহাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রুজু করা হয় খুন ও বধূ নির্যাতনের মামলা ।
আরও পড়ুন :যোগীরাজ্য়ে দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু কনস্টেবলের, গুরুতর আহত সাব ইন্সপেক্টর
সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল বলেন," মহিলা কনস্টেবল খুনের ঘটনায় তাঁর স্বামী ভবতোষ মাহাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয় । তদন্তের স্বার্থে পুলিশ চারদিনের পুলিশি হেপাজত চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন ।" এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়ে তদন্ত করছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ।