ঝাড়গ্রাম, 28 মার্চ : এক দশক পর ভোট দিয়েছেন গতকালই ৷ ভোট মিটতেই ছত্রধর মাহাতোকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ৷ জানা গিয়েছে, 2009 সালে প্রবীর মাহাতো খুন ও রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি করার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা ৷ রবিবার ভোর 3টে 25 নাগাদ 40 জনের একটি টিম লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় ৷
2009 সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় প্রথমে তাঁকে আটক করা হয় ৷ পরে 4টে নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ ৷ তাঁকে কলকাতার সল্টলেকে এনআইএ-র দফতরে নিয়ে আসা হয় ৷ ছত্রধর মাহাতো-র বিরুদ্ধে ইউএটিএ ধারায় মামলা রুজুর পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারায় খুন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয় ৷ এনআইএ-র দাবি, 2009 সালে ছত্রধর মাহাতো রাজধানী এক্সপ্রেস আটকে ছিলেন ৷ সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে ৷ পাশাপাশি এনআইএ-র সূত্রে খবর, খুনের ঘটনায় ছত্রধর মাহাতো সহ 33 জনের চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ ৷ তাঁকে আজ সল্টলেকের এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হবে ৷
আরও পড়ুন : জেল থেকে গণতন্ত্রের পূজারি, অন্য এক ছত্রধরের উত্থান
জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে 2009 সালে প্রথমে বাঁশপাহাড়িতে রাজধানী এক্সপ্রেসকে পণবন্দি করার ঘটনায় লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ পরে লালগড় থানাতেই আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয় ঝাড়গ্রামের সিপিএম নেতা প্রবীর ঘোষ খুনের ঘটনায় ৷ এই দু’টি মামলাতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগ এনে এনআইএ-কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ সেই নির্দেশ দেওয়া হয় চলতি বছরের 30 মার্চ ৷
এরপর ছত্রধর মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার চিঠি দেয় এনআইএ ৷ ঝাড়গ্রামে গিয়েও ছত্রধর মাহাতোকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনআইএ-র আধিকারিকরা ৷ তারপরও তাঁদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না ছত্রধর ৷ আর তারপরই ছত্রধর মাহাতো সহ 27 জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অনুমতি চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় এনআইএ ৷ কিন্তু সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন বিশেষ আদালতের বিচারক ৷ তবে তদন্তের স্বার্থে এনআইএ অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে ৷ এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনআইএ ৷ তারই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাকে সপ্তাহে তিনদিন এনআইএ-র সল্টলেকের কার্যালয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ৷