জলপাইগুড়ি, 16 জুন: পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার বিভিন্ন নদীতে জলস্তর (River Water Level) বাড়তে শুরু করেছে ৷ এই কারণেই সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জলঢাকা ও তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় (Unprotected Area) হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) কার্যকর করা হয়েছে ৷ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ার (শহর) ও ফালাকাটায় 31 নম্বর জাতীয় সড়কের ডাইভারশনের উপর দিয়ে তোর্সার জলধারা বইতে শুরু করেছে ৷ ফলে এই রুটে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটার মধ্যে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ৷
জলপাইগুড়ি জেলার দোমোহনী থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে ৷ বুধবার দুপুর 3টে 20 মিনিট নাগাদ এই সতর্কতা জারি করা হয় ৷ অন্যদিকে, 31 নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল 8টা 25 মিনিট থেকে হলুদ সতর্কতা কার্যকর করা হয় ৷
আরও পড়ুন: Forest Closer Notification: পর্যটকদের তিন মাস জঙ্গলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আবহাওয়া দফতর থেকে সেচ দফতরের কাছে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, 15 জুন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত চলবে আগামী 19 জুন পর্যন্ত ৷ ফলে এই কয়েক দিনে স্থানীয় নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়বে ৷
জলপাইগুড়ি জেলা সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র সঞ্জীবকুমার সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে ৷ সেই কারণেই নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে ৷ সেই অনুসারেই বিভিন্ন নদীতে এবং এলাকায় হলুদ সতর্কতা কার্যকর করা হয়েছে ৷ সেচ দফতর পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে ৷ আপাতত দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কোনও কারণ নেই ৷ পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেই আছে ৷" প্রসঙ্গত, গতবছর এই সময়ে জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছিল 605.40 মিলিমিটার ৷ এবছর সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 908.40 মিলিমিটার ৷