জলপাইগুড়ি, 3 মে: হাত বাঁধা ৷ বিছানার উপর পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরান বাজার এলাকায়। যা দেখে প্রাথমিক অনুমান, মহিলাকে কেউ বা কারা খুন করে ফেলে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু কী কারণে খুন, উত্তর অজানা ৷ ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে তাঁরা মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।
জানা গিয়েছে মৃত মহিলার বয়স বছর পঞ্চান্ন। তিনি বাড়ি-বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতেন। মৃতার স্বামী বছর পনেরো আগে মারা যাওয়ায় বিবাহিত দুই মেয়ে তাঁকে দেখাশোনা করতেন ৷ পরিচারিকার কাজের পাশাপাশি তিনি কখনও কখনও কীর্তন করে সংসার চালাতেন। ঝরনা দেবীর দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে দোমহনীতেই। তাঁরা প্রত্যেকদিন যোগাযোগ রাখতেন মায়ের সঙ্গে ৷ তবে রবিবার থেকে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না-পারায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে তাঁদের।
আরও পড়ুন: অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সোনারপুরে
দু'দিন ধরে যোগাযোগ না-হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সন্দেহ তীব্র হয় তাঁদের। ঝরনা দেবীর দুই মেয়ে একইসঙ্গে মায়ের কাছে আসেন। সেখানে এসে তাঁরা বাড়ির দরজায় তালা ঝুলতে দেখেন ৷ সেইসঙ্গে দুর্গন্ধ আসে তাঁদের নাকে। এরপর পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ! বিছানায় মশারি টাঙানো রয়েছে, হাত পিছনে বাঁধা অবস্থায় মায়ের দেহ পড়ে রয়েছে বিছানাতেই ৷ খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ঘটনার নেপথ্য কারণ কী, মহিলার মৃত্যুর পিছনে কারা রয়েছে, সবকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার খণ্ডেবাহালে উমেশ গণপত।