জলপাইগুড়ি, 12 এপ্রিল: মরা শূকরের দেহাংশ খেয়ে মারা গেল 13 টি শকুন। অসুস্থ আরও 5 টি। ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। গত মাসেই মালবাজারে একঝাঁক বিলুপ্তপ্রায় শকুনকে রেললাইনের ওপর মৃত প্রাণীর দেহাংশ খেতে দেখে খুশি হয়েছিলেন বনবিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। একমাস পরেই 13টি শকুনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে। মৃত শকুনগুলি বিলুপ্তপ্রায় হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন বলে জানা গিয়েছে।
আজ জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের করতোয়া নদীর ধারে একটি মৃত শূকরের দেহাংশ খাচ্ছিল একঝাঁক শকুন। কিন্তু, কিছু পরে একে একে 13টি শকুন মারা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও 5 টি শকুন। পরে ঘটনাস্থানে এসে চিকিৎসার জন্য অসুস্থ শকুনগুলিকে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা নিয়ে যান।
কোরোনা সংক্রমণের সময় নদীর ধারে এভাবে এতগুলি শকুনের মৃত্যুতে চিন্তিত বনবিভাগ। আজ শকুন মারা যাওয়ার খবর পেয়েই আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরাও ঘটনাস্থানে আসেন। মৃত শকুনগুলিকেও নিয়ে যান তাঁরা।
বন দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, শূকরটি বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারে। সেই কারণেই দেহাংশ খাওয়ার পর শকুনগুলির মৃত্যু হয়েছে। মৃত শকুনগুলির ময়নাতদন্ত করে দেখছে বনবিভাগ।