জলপাইগুড়ি, 15 এপ্রিল: নববর্ষের দিনেও ঘরছাড়া ময়নাগুড়ি ভুস্কারডাঙ্গা গ্রামের মানুষজন। গ্রামের পাশে হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । 13 তারিখ ময়নাগুড়ি হিমঘরের ছাদের একাংশ বসে গিয়ে, দেওয়াল ধসে পরার পর থেকেই গ্যাস লিক হতে থাকে। অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পরেন 9 জন। এরপরেই আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এলাকার হিমঘরে আমচকাই দেওয়ালে ধস নামে। ঘটনায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এলাকায়। ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থও হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র অনেকে চলেও যেতে থাকেন। তড়িঘড়ি ঘটনার খবর দেওয়া হয় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গ্রামের মানুষদের অনত্র সরানোর ব্যবস্থাও করা হয়। তারপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী 14 তারিখ ভোররাতেই হিমঘরের অ্যামোনিয়া গ্যাস প্ল্যান্টের গ্যাস বন্ধ করে দেয়। এরপর নতুন করে অ্যামোনিয়া গ্যাস না ছড়ালেও ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ লাইনের মধ্যে আটকে থাকা গ্যাস বেরোতে শুরু করে। কালো হয়ে যায় প্ল্যান্টের পাশে থাকা একাধিক গাছের পাতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক তৈরি হয় । গ্যাসের ভয়ে নিজের বাড়িতে আসতে চাইছেন না গ্রামবাসীরা। এমনকি, হিমঘরের আসেপাশের চা বাগান অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে কালো হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন নতুন বছরে নিজের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকতে বাধ্য হয়েছেন গ্রামের মানুষজন।
আরও পড়ুন: মোতিহারিতে মৃত্যুমিছিল, 'বিষমদের বলি' বলে অভিযোগ !
হিমঘরের পাশে ভুস্কারডাঙ্গা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সত্যেন রায় অভিযোগ করে বলেন, "আমরা চাই আগের মত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। আমরা আতঙ্কে আছি। এলাকার সমস্ত গাছ পুড়ে গিয়েছেে। আমরা অনেকদিন আগে থেকে হিমঘরের মালিককে বিষয়টি দেখার জন্য বললেও মালিক কথা কানে তোলেননি। আমরা আবারও নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে চাই। এর জন্য বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনার ব্যাঘাত হচ্ছে। আমরা চাই, পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হোক।"