জলপাইগুড়ি, 31 ডিসেম্বর: সিকিমে রোপওয়ের কাজ করতে গিয়ে ধসে চাপা পরে মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির দুই শ্রমিকের (Migrant Workers Death)। আহত আরও দুজন শ্রমিক শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । মৃত দুই শ্রমিকের নাম রবি রায় (35), সুধিরাম ওড়াও (42) ।
মৃতরা জলপাইগুড়ি জেলার বারপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামি পাড়ার বাসিন্দা ৷ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ এই এলাকার মোট 11জন শ্রমিক এই নির্মাণ কাজে গিয়েছিলেন । ঘটনার পর সবাই গ্রামে ফিরে এসেছেন ৷ মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, এখানে দিন মঞ্জুরি অত্যন্ত কম ৷ পাশাপাশি এখানে প্রতিদিন কাজ থাকে না । পরিবার নিয়ে চলা খুব সমস্যা হচ্ছিল সেকারণেই সিকিমের পেলিং এলাকায় একটি রোপওয়ের কাজে গিয়েছিল বারপাটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ধামি পাড়ার 11 জন শ্রমিক ।
গত 15 দিন আগেই এই শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে সিকিম গিয়েছিলেন । সব ঠিকই ছিল শুক্রবার সকালে শ্রমিকেরা কাজ শুরু করার ঠিক 15 মিনিটের মধ্যে একটা বিরাট অংশের মাটি ধস নামে । সবাই পালিয়ে যেতে পারলেও বারপাটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ধামি পাড়ার 4 জন শ্রমিক সেই মাটির ধসে চাপা পরে যান । এরপরেই জেসিবির সাহায্যে মাটি সরিয়ে উদ্ধার করা হয় রবি রায়, সুধিরাম ওড়াও, প্রশান্ত রায়, সম্পদ রায়কে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রবি রায় ও সুধীরাম ওড়াও-এর ৷ আহত প্রশান্ত ও সম্পদকে সিকিমের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখান থেকে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ির একটি বেসকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে (Two Jalpaiguri migrant workers died at landslide) ।
আজ সকালে মৃত রবি রায় ও সুধীরাম ওড়াও-এর দেহ গ্রামে আনা হয় । এরপরেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে । রবি রায় ও সুধীরাম ওড়াও-এর বাড়িতে তিনটি করে কন্যা সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে ৷ পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তাঁরা ৷ এখন পরিবার কিভাবে চলবে সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা । এলাকার বাকি শ্রমিকরা এই ঘটনার পরেই কাজ ছেড়ে গ্রামে ফিরে এসেছেন । ইতিমধ্যে বিডিও অফিসে আধিকারিকরা গ্রামে এসে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ বহুতলের কাঠামো ভেঙে শিলিগুড়িতে শ্রমিকের মৃত্যু
জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, "আমরা শুনেছি দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে । তবে সরকারিভাবে কোনও রিপোর্ট এখনও সিকিমের থেকে আমরা পাইনি । সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট পেলে পরবর্তীতে রাজ্য সরকারকে জানানো হবে ।"