জলপাইগুড়ি, 13 জানুয়ারি: ঘন কুয়াশার জেরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আরও এক স্কুটি আরোহী। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির শিলিগুড়িগামী 31নম্বর জাতীয় সড়কের দশদরগা এলাকার ঘটনা। দুর্ঘটনার পর ঘটনার স্থলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।
সন্ধ্যা নামতেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। এদিন জলপাইগুড়ি উত্তর কুমার পাড়ার বাসিন্দা দীপক দাস স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে নিয়ে স্কুটিতে জাতীয় সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীপক দাসের স্কুটিতে একটি বড় গাড়ি এসে ধাক্কা মারে ৷ অন্ধকার ও ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান ৷ গুরুতর জখম হন স্কুটি সওয়ারি তিনজনেই ৷
দুর্ঘটনা আঁচ করতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এলাকাবাসী ৷ তাঁরাই তিনজকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন । প্রাথমিক চিকিৎাসার পরই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন দীপক দাস ও তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । তবে স্ত্রী'কে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় কোতয়ালি থানার পুলিশ ৷ পুলিশকে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাক্রমে স্থানীয় বাসিন্দা নিলিমা সরকারের দাবি, দশদরগা এলাকাটিতে একটি বাতিস্তম্ভ ছিল ৷ কিন্তু দুর্ঘটনায় সেটি ভেঙে যায় ৷ তারপর থেকেই কোনও পথ বাতিস্তম্ভ নেই এলাকায় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তায় বাতিস্তম্ভের ব্যবস্থা করার জন্য আারজি জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে । কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, অন্ধকারে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও, নির্বিকার প্রশাসান ৷ এদিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । কোতয়ালী থানার পুলিশ ঘাতক গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: