জলপাইগুড়ি, 9 সেপ্টেম্বর: পর্যটনের নতুন ঠিকানা কালিম্পং জেলার পাশাবং গ্রাম। পাখি নিয়ে যারা কাজ করেন বা পাখির ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য আদর্শ গ্রাম পাশাবং। রক ক্লাইম্বিং থেকে শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের নিতুন ঠিকানা পাশাবং গ্রাম। স্থানীয় বেকার যুবকরা এখানে হোম স্টে গড়ে তুলেছেন। মিরিক লেকের আদলে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে নোকডারা লেক।
কীভাবে যাবেন?
ডুয়ার্সে যারা ঘুরতে আসেন তাঁদের জন্য এই পাশাবং গ্রামে যাওয়াটা খুবই সহজ। জলপাইগুড়ির মালবাজার থেকে ছোট গাড়ি নিয়ে লাভা দিয়ে যাওয়া যায়। এছাড়া ঝান্ডি হয়ে সামা ভিউ টি গার্ডেন হয়েও যাওয়া যায় এই পাশাবং গ্রামে। মালবাজার থেকে এই গ্রামে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগবে ৷
কোথায় থাকবেন?
পাশাবং গ্রামেই বেশ কিছু উদ্যমী যুবক কটেজ তৈরি করেছেন। স্থানীয়দের নিয়ে মোট 8টি কটেজ রয়েছে। কটেজ গুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। কেউ পরিবার নিয়ে যেতে পারেন আবার যদি কেউ কোনও গ্রুপ করে একসঙ্গে 7-8 জন যান তাহলে ডুপ্লেক্স রুমে থাকা যেতে পারে। তার জন্য আপনাকে বেশি টাকা খরচও করতে হবে না। ভাড়া মাত্র 2500 টাকা (7 জন)। জন প্রতি 600 টাকা দিয়ে সকালের চা থেকে শুরু করে রাতে ডিনার সবই পাবেন।
কী কী দেখবেন?
পাশাবং এমন একটি গ্রাম যেখান থেকে টাইগার ফলস রয়েছে। যাকে বাক ঝরনা বলা হয় ৷ যারা ভূগোলের ছাত্র, ছাত্রী তাঁরা গীতখোলা রিভার বেডে পাথর নিয়ে পড়াশোনাও করতে পারবেন। ভূগোল নিয়ে যারা গবেষণার কাজ করেন তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা। এছাড়াও এখানে থেকে রক ক্লাইম্বিং এর মজা নিতে পারবেন পর্যটকরা। পাহাড়ের দেড় হাজার ফিট উঁচুতে গীতখোলা নদী অবস্থিত। পাহাড়ি ঝরনায় স্নান করার মজাও নিতে পারবেন পর্যটকরা।
এখানে প্রচুর পাখি রয়েছে। প্রচুর পাখি রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিরল প্রজাতি 22-24 জোড়া রুফোর্স নেকড হর্নবিল রয়েছে। বার্ডওয়াচারদের জন্য খুবই ভালো জায়গা। দীর্ঘ প্রয়াসের পর এই প্রথম পাহাড় ও সমতলের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বেকার ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে পর্যটনের এক নতুন জায়গায় উদ্ধার হয়েছে। কালিম্পং জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পাশাবং। শীতকালে গ্রামটি গোলাপি আর হলুদ ফুলে ছেয়ে যায়। যেখানে চা বাগান, জঙ্গল-সহ গীতখোলা নদী বয়ে যায় পাশাবংয়ে গ্রামের বুক চিরে।
পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত রাজেন প্রধান জানান, এই জায়গাটা আমরা গত বছর খুজে বের করেছি। এই গ্রামটিতে আগামীতে পর্যটকের ঢল নামবে এটা বলতেই পারি। এই গ্রামে পর্যটক আসা মানেই বেকার যুবকদের মুখে হাসি ফোটা। পাশাবং গ্রামের পর্যটনের সাথে যুক্ত স্বরূপ মিত্র বলেন, "পাহাড়ের নদীর পাশেই থাকার মজাটাই আলাদা। রাতে ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে আপনার গন্তব্য হোক পাহাড়ের 'হিমেল মুকুট' লাভা-লোলেগাঁও