জলপাইগুড়ি, 6 অক্টোবর: সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিস্তা নদীতে ভেসে আসা 17 জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । ওই 17 জনের মধ্যে তিনজন সেনা জওয়ানের মৃতদেহ বলে শুক্রবার জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ড. কল্যাণ খাঁ ৷ বাকি নিখোঁজ সেনা জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ।
গত পরশু থেকেই সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পসের সেনা আধিকারিকরা নিখোঁজ হওয়া সেনা জওয়ানদের উদ্ধারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে । গত পরশু রাত থেকে তিস্তার জল নামতে শুরু করায় একে একে মৃতদেহ ভেসে উঠছে । ব্যাঙডুবি, বিন্নাগুড়ি সেনা জওয়ানরা মৃতদেহ উদ্ধারের পর শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । বিশেষ করে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার, ময়নাগুড়ি, সদর ব্লক, ক্রান্তি ও কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । উদ্ধার করা মৃতদেহের মধ্যে নিঁখোজ সেনা জওয়ান আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন সেনা আধিকারিকরা । মেডিক্যাল কলেজের সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন ওড়িশার, একজন তেলেঙ্গানার ৷
এদিকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজন জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । জেলার ক্রান্তি চাপাডাংগার জয়শিব সেন ও ময়নাগুড়ি চাত্রার পারের রঞ্জিত রায় সেনাবাহিনীর পোর্টার হিসেবে কাজ করতেন ৷ তাঁদেরকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । জলপাইগুড়ি জেলায় এনডিআরএফের দু’টো টিম কাজ করছে । এসডিআরএফের চারটি টিম কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে কাজ করছে ।’’
জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ড. কল্যাণ খাঁ জানান, ওই হাসপাতালে 17টি মৃতদেহ আসে । তিনটি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে । মৃত তিনজন সেনা জওয়ান । বেশির ভাগই মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না । শনাক্ত হওয়া দেহগুলি সেনার হাতে দ্রুত তুলে দেওয়া হবে ৷ প্রশাসনের তরফে সামগ্রিক বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে ৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুয়াহাটির মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (ডিফেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত জানান, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ সেনা জওয়ানদের উদ্ধারের বিষয়ে তাঁদের কাছে সমস্ত তথা এসে পৌঁছায়নি । সেনা জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি জারি আছে । তিস্তা নদীর নিচের অংশে তিস্তা ব্যারেজে খোঁজ করা হচ্ছে । তিরঙ্গা মাউন্টেন রেসকিউ টিম কাজ করছে ।
আরও পড়ুন: তিস্তা থেকে কুড়িয়ে আনা সেনা-সামগ্রী বিস্ফোরণে মৃত্যু, এবার ফেরাতে মরিয়া বানভাসি সিকিমবাসী