জলপাইগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর: কুকুরকে লাথি মারার খেসারত দিতে হল প্রৌঢ়কে ৷ কুকুরকে মেরেছিলেন চা ফ্যাক্টরির এক প্রৌঢ় কর্মী ৷ প্রতিবাদ করেন সংস্থার ম্যানেজার ৷ শুধু প্রতিবাদেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। অভিযোগ, কর্মীকে সপাটে একটা চড় মারেন ম্যানেজার । সেই চড়ই প্রাণ কাড়ল ওই কর্মীর। তাঁর এক চড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই প্রৌঢ় কর্মী ৷ সোমবার, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের চা ফ্যাক্টরিতে ৷ মৃতের নাম সুব্রত মণ্ডল (50) ৷ তাঁর বাড়ি সদর ব্লকের রাহুত বাগানে ৷ অভিযুক্ত ম্যানেজার সিদ্ধার্থ গান্ধিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত সুব্রত মণ্ডল চা ফ্যাক্টরিতে ফিটারের কাজ করতেন ৷ সিদ্ধার্থ গান্ধি ওই ফ্যাক্টরির ম্যানেজার এবং সম্পর্কে চা ফ্যাক্টরির মালিকের আত্মীয় ৷ এদিন সিদ্ধার্থর সঙ্গে সুব্রত মণ্ডলের বচসা বাধে ৷ ফ্যাক্টরিতে থাকা একটি কুকুরকে লাথি মারেন সুব্রত মণ্ডল ৷ এতেই বেজায় চটে যান সিদ্ধার্থ ৷ এরপরেই সুব্রতর সঙ্গে কথাকাটাকাটি তীব্র আকার নেয় ৷
এই পরিস্থিতিতে আচমকা সিদ্ধার্থ গান্ধি সুব্রত মণ্ডলকে চড় মেরে দেন বলে অভিযোগ ৷ চড় মারার পরই সুব্রত মণ্ডল মাটিতে পড়ে যান ৷ আহত সুব্রত মণ্ডলকে উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সুব্রতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে চা ফ্যাক্টরির কর্মী অপূর্ব মণ্ডল বলেন, "আমরা একসঙ্গে কাজ করি ৷ শুনলাম, ফ্যাক্টরিতে একটি পোষা কুকুর থাকে ৷ তাকে নাকি লাথি মেরেছিলেন সুব্রত ৷" তবে তিনি এই দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না ৷ অপূর্ব মণ্ডল আরও বলেন, "সুব্রত ফ্যাক্টরির কুকুরকে লাথি মারার ফলে ক্ষেপে যান ম্যানেজার সিদ্ধার্থ গান্ধি ৷ তিনি সুব্রতর কানের কাছে থাপ্পড় মারেন ৷ এরপরেই তিনি মাটি পড়ে যান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ৷ তখন তাঁকে হাসপাতালে আনা হয় ৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ সিদ্ধার্থ কুকুর ভালোবাসেন ৷ কিন্তু এমন ঘটনা যে ঘটবে যাবে, আমরাও বুঝতে পারলাম না ৷"
আরও পড়ুন: আচমকা জঙ্গিদের গুলি, প্রাণ দিয়ে হ্যান্ডলারকে বাঁচাল বাহিনীর সারমেয় যোদ্ধা
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানান, স্টাফ ও সাব স্টাফদের মারধরের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ গান্ধি ৷ মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে ৷ তারপরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ৷