ETV Bharat / state

Fruit Cultivation: উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার - Fruit Cultivation in North Bengal

প্রতিবারের মতো এবারও উত্তরবঙ্গে বিকল্প চাষে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ ফার্ম থেকে বিনামূল্যে চাষিদের চারা বিতরণ করা হবে ৷

Etv Bharat
উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার
author img

By

Published : Apr 24, 2023, 7:18 PM IST

উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার

জলপাইগুড়ি, 24 এপ্রিল: বিকল্প চাষের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার । জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কৃষকদের ফল চাষে উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হয়েছে হর্টিকালচার দফতর । ড্রাগন ফ্রুট, আপেল, কুল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি চাষে সহযোগিতা করে চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।

এর জন্য মোহিতনগরে 16 বিঘা জমির উপর চারাগাছ তৈরির জন্য ফার্ম করা হয়েছে । এই ফার্মে আম, মালটা, ড্রাগন ফ্রুট, আপেল কুল, পেয়ারা ও স্ট্রবেরি গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে । কারণ ফলের একটা ভালো বাজার তৈরি হয়েছে ।এখানে প্রচুর ফল বাইরে থেকে আসে । যার জেরে ফলের পরিবহণ খরচ বেড়ে যায় । তাই স্বাভাবিকভাবেই দামটাও বাড়ে । যদি উত্তরবঙ্গেই ফলের জোগান দিতে পারা যায় তাহলে ফলের পরিবহণ খরচ কম হবে । ক্রেতারাও কম দামে পাবেন ।

পাশাপাশি চাষিরা এখানকার বাজারেই ফল বিক্রি করতে পারবেন । এতে তাঁরা বিকল্পভাবে লাভবান হতে পারবেন । আগামী 5 বছরের মধ্যেই চাষিদের আমূল একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার । এই বিষয়ে হর্টিকালচার দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি ডিরেক্টর ড: খুরশিদ আলম বলেন, "আমরা বিভিন্ন ফলের চারা তৈরি করে কৃষকদের দিচ্ছি জেলার মাধ্যমে । আগে যেমন সময়মতো চারা দিতে পারতাম না । সেই সমস্যা থাকছে না এখন । এমনকি চাষিদের আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি । কীভাবে তাঁরা চাষ করবেন সেটাও জানানো হচ্ছে ৷"

রাজ্যের হর্টিকালচার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুব্রত গুপ্ত বলেন, "আমরা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার চাষিদের বিকল্প চাষে উৎসাহিত করছি । এবার মোহিতনগরে 16 বিঘা জমির উপর চারাগাছ তৈরির জন্য ফার্ম করা হয়েছে । আমরা চাষিদের আম, মালটা, ড্রাগন ফ্রুট, আপেল কুল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি ফল চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি । কারণ ফলের একটা ভালো বাজার তৈরি হয়েছে । বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই ফলের চারা গাছ উৎপাদনের কাজ করছে হর্টিকালচার দফতর । ফলে আমরা গুণগত মান ভালো এমন চারা পাচ্ছি । পাশাপাশি বাইরে থেকে চারা কিনে চাষিকে দিতে আমাদের যা খরচ হত, এখান থেকে চারা দিতে আমাদের 25 শতাংশ দাম কম পড়ছে । পিপিপি মডেলে হবার ফলে আমাদের সরকারের প্রযুক্তিগত বা শ্রমিক বা আনুষাঙ্গিক খরচ লাগছে না । সেই সংস্থাই সেটা করছে । আমাদের দফতর তার মনিটরিং করছে ।"

বেসরকারি লগ্নিকারী সংস্থার কর্ণধার উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মোহিতনগর ফার্মের 10 একর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল । সেখানেই আমরা চারা তৈরি করছি । গত বছর সাড়ে সাত লক্ষ ফলের চারা তৈরি করেছিলাম । এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করেছি । গত বছর সরকারকে আমরা 62 লক্ষ টাকা দিয়েছি । এবার আমরা 1 কোটি টাকা দেবার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি ।

আরও পড়ুন : হর্টিকালচার দফতরের উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে অর্কিড চাষ, তৈরি হবে গার্ডেন ও ক্যাফেটেরিয়া

উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার

জলপাইগুড়ি, 24 এপ্রিল: বিকল্প চাষের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের চাষিদের ফল চাষে উৎসাহিত করছে রাজ্য সরকার । জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কৃষকদের ফল চাষে উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হয়েছে হর্টিকালচার দফতর । ড্রাগন ফ্রুট, আপেল, কুল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি চাষে সহযোগিতা করে চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।

এর জন্য মোহিতনগরে 16 বিঘা জমির উপর চারাগাছ তৈরির জন্য ফার্ম করা হয়েছে । এই ফার্মে আম, মালটা, ড্রাগন ফ্রুট, আপেল কুল, পেয়ারা ও স্ট্রবেরি গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে । কারণ ফলের একটা ভালো বাজার তৈরি হয়েছে ।এখানে প্রচুর ফল বাইরে থেকে আসে । যার জেরে ফলের পরিবহণ খরচ বেড়ে যায় । তাই স্বাভাবিকভাবেই দামটাও বাড়ে । যদি উত্তরবঙ্গেই ফলের জোগান দিতে পারা যায় তাহলে ফলের পরিবহণ খরচ কম হবে । ক্রেতারাও কম দামে পাবেন ।

পাশাপাশি চাষিরা এখানকার বাজারেই ফল বিক্রি করতে পারবেন । এতে তাঁরা বিকল্পভাবে লাভবান হতে পারবেন । আগামী 5 বছরের মধ্যেই চাষিদের আমূল একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার । এই বিষয়ে হর্টিকালচার দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি ডিরেক্টর ড: খুরশিদ আলম বলেন, "আমরা বিভিন্ন ফলের চারা তৈরি করে কৃষকদের দিচ্ছি জেলার মাধ্যমে । আগে যেমন সময়মতো চারা দিতে পারতাম না । সেই সমস্যা থাকছে না এখন । এমনকি চাষিদের আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি । কীভাবে তাঁরা চাষ করবেন সেটাও জানানো হচ্ছে ৷"

রাজ্যের হর্টিকালচার দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুব্রত গুপ্ত বলেন, "আমরা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার চাষিদের বিকল্প চাষে উৎসাহিত করছি । এবার মোহিতনগরে 16 বিঘা জমির উপর চারাগাছ তৈরির জন্য ফার্ম করা হয়েছে । আমরা চাষিদের আম, মালটা, ড্রাগন ফ্রুট, আপেল কুল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি ফল চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি । কারণ ফলের একটা ভালো বাজার তৈরি হয়েছে । বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই ফলের চারা গাছ উৎপাদনের কাজ করছে হর্টিকালচার দফতর । ফলে আমরা গুণগত মান ভালো এমন চারা পাচ্ছি । পাশাপাশি বাইরে থেকে চারা কিনে চাষিকে দিতে আমাদের যা খরচ হত, এখান থেকে চারা দিতে আমাদের 25 শতাংশ দাম কম পড়ছে । পিপিপি মডেলে হবার ফলে আমাদের সরকারের প্রযুক্তিগত বা শ্রমিক বা আনুষাঙ্গিক খরচ লাগছে না । সেই সংস্থাই সেটা করছে । আমাদের দফতর তার মনিটরিং করছে ।"

বেসরকারি লগ্নিকারী সংস্থার কর্ণধার উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মোহিতনগর ফার্মের 10 একর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল । সেখানেই আমরা চারা তৈরি করছি । গত বছর সাড়ে সাত লক্ষ ফলের চারা তৈরি করেছিলাম । এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করেছি । গত বছর সরকারকে আমরা 62 লক্ষ টাকা দিয়েছি । এবার আমরা 1 কোটি টাকা দেবার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি ।

আরও পড়ুন : হর্টিকালচার দফতরের উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে অর্কিড চাষ, তৈরি হবে গার্ডেন ও ক্যাফেটেরিয়া

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.