জলপাইগুড়ি, 2 নভেম্বর: পুজো শেষ হয়েও হয়না রংধামালির মহারাজ ঘাটে ৷ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পরের বৃহস্পতিবার হয় এই পুজো ৷ এক দিনের এই দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে তিনদিনের মেলা বসে গ্রামে ৷ কথিত আছে, দেবী কৈলাশে ফেরার সময় এই এলাকায় বিশ্রাম নিয়ে ছিলেন ৷ তাই পুজো শেষে অকাল দুর্গাপুজো করেন রংধামালির মহারাজ ঘাটের বাসিন্দারা । এক দিনের দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসেছে এই এলাকায় । শুধু তাই নয় দুর্গাঠাকুরের পাশাপাশি এখানে জোড়া কালি ঠাকুরেরও পুজো হয় । এলাকার সুখ সমৃদ্ধিতেই দীর্ঘ 142 বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে ।
পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিনয় কুমার রায় জানান, এই পুজোয় গ্রামের সকলেই বাইরে থেকে আসেন । তিনদিন ধরে চেলে এই মেলা । এই পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর উচ্ছ্বাস থাকে চোখে পড়ার মতো ৷ পুজো উপলক্ষ্যে সকলে বাড়ি ফেরেন । উদ্যোক্তা বলেন, "বৈকুন্ঠপুরের রাজা প্রসন্নদেব এই পুজোর প্রচলন করেন ৷ সেই প্রথা আজও চলে আসছে ৷ একদিনের এই বনদুর্গা পুজোর পরের দিন মহিলারা স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে নতুন শাঁখা পরেন । একদিনে ষষ্টী থেকে দশমীর পুজো হয় ।"
আরও পড়ুন: পুজো মণ্ডপে কেমিক্যাল মাখানো ফুচকা নিয়ে মতভেদ থিম শিল্পী ও ফুড টেকনোলজি প্রফেসরের
পুজো এক দিনে হলেও মেলা হয় তিনদিন ধরে । তাই রংধামালিতে অকাল দুর্গা পুজোর মেলার উৎসাহ উদ্দিপনা এখন তুঙ্গে । বছরের একটা দিন সবার সাথে দেখা করার দিন তাই গ্রামের বাইরে থাকা এলাকার মানুষরা বাড়ি ফিরছেন। স্থানীয় বাসিন্দা গার্গী রায় বলেন, "প্রতিবছরই তিনি শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসি । সকলে মিলে মজা করি। স্বামীর দির্ঘায়ু কামনায় শাঁখা-পলা পরি । এখানের পুজো খুবই জাগ্রত । এটাই ঐতিহ্য জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রংধামালী এলাকায় মহারাজ মেলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির । সেই বিশ্বাস নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দার কোজাগরীর পরে এই পুজো করে আসছেন ৷