ETV Bharat / state

Maynaguri BDO Office: নিত্য খাবারের লক্ষাধিক টাকা বকেয়া, বিডিওকে দায়ী করে আত্মঘাতী দোকানি

সুইসাইড নোটে বিডিও ও এক আধিকারিককে দায়ী করে আত্মঘাতী হলেন খাবারের দোকানের মালিক (Maynaguri BDO Office) ৷ খাবারের অর্ডার বাবদ লক্ষাধিক টাকা পেতেন বিডিও অফিস থেকে ৷ সেই প্রাপ্য টাকা না পাওয়াতেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷

ETV Bharat
বিডিও অফিস থেকে ধারের টাকা শোধ না করায় আত্মঘাতী দোকানি
author img

By

Published : Jan 5, 2023, 10:43 PM IST

দোকানির মৃত্যুতে পরিবারের প্রতিক্রিয়া

জলপাইগুড়ি, 5 জানুয়ারি: বিডিও অফিসের কাছে বকেয়া টাকা না পেয়ে বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন খাবারের দোকানের মালিক (Shop Owners Died by Suicide Blaming Maynaguri BDO in Jalpaiguri ) । প্রথমে তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে । ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসের কাছে একটি লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের জন্য প্রায় 4 লক্ষ 31 হাজার টাকা বকেয়া না পেয়ে সুইসাইড নোটে বিডিও ও বিডিও অফিসের বড়বাবুকে দায়ী করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্থানীয় ফুডপার্কের মালিক গৌতম দাস । বুধবার দুপুরে তিনি বিডিও অফিস চত্বরেই বিষ খান ৷ ভাইরাল হয় সুইসাইড নোট । বৃহস্পতিবার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্য়ু হয় ৷

ময়নাগুড়ি মধ্য খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা গৌতম দাসের খাবারের দোকান রয়েছে বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকাতেই ৷ আগে তিনি ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির খুকশিয়া পার্কে ফুড পার্ক চালাতেন । বিগত কয়েক বছর ধরে বিডিও অফিসের কাছে তিনি পেতেন মোট বকেয়া হয় 4 লাখ 31 হাজার 705 টাকা ৷ তা না পাওয়াতেই এই ঘটনা ৷

Jalpaiguri
দোকানির লেখা সুইসাইড নোটের প্রথম পৃষ্ঠা

আরও পড়ুন : বিডিও অফিসে বকেয়া লক্ষ লক্ষ টাকা, আত্মহত্যার চেষ্টা দোকানির

যদিও এই বিষয়ে বুধবার ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী জানান, গৌতম দাস বিডিও অফিসে আমাদের খাবার সরবরাহ করে থাকেন । 2020 সালের আগে অফিসে খাবার সরবরাহ বাবদ তিনি কয়েক লক্ষ টাকা পেতেন বলে দাবি করেন । আমি ময়নাগুড়ির বিডিও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেকার ঘটনা এটি । আমি তাঁর কাছে সরকারি অর্ডার দেওয়া বাবদ যে বকেয়া টাকা রয়েছে সেই কাগজ চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু তিনি আমাকে পুরনো কোনও অর্ডারের কাগজ দিতে পারেননি । ফলে সরকারি টাকা দেওয়া যায়নি । এরপর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । এটা দুঃখজনক ।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন,"দুঃখজনক ঘটনা । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতেই পারে । বিডিও অফিস থেকে সমস্ত কাগজ দেখতে পারে । তবে বিডিওর কাছে শুনেছি তিনি খাবারের অর্ডারের সরকারি কাগজ দিতে পারেননি ।

মৃতের ছেলে বর্ণজিৎ দাসের বক্তব্য, "বাবাকে হারিয়েছি । এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই ৷ বাবা টাকার জন্য বিষ খেয়েছিলেন । আমি সকলের কথা শুনে কাজ করব ৷"

আরও পড়ুন : হঠাৎ চলন্ত বাসের তলায় শুয়ে পড়লেন প্রৌঢ়, তারপর কী হল ...

দোকানির মৃত্যুতে পরিবারের প্রতিক্রিয়া

জলপাইগুড়ি, 5 জানুয়ারি: বিডিও অফিসের কাছে বকেয়া টাকা না পেয়ে বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন খাবারের দোকানের মালিক (Shop Owners Died by Suicide Blaming Maynaguri BDO in Jalpaiguri ) । প্রথমে তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে । ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসের কাছে একটি লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের জন্য প্রায় 4 লক্ষ 31 হাজার টাকা বকেয়া না পেয়ে সুইসাইড নোটে বিডিও ও বিডিও অফিসের বড়বাবুকে দায়ী করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্থানীয় ফুডপার্কের মালিক গৌতম দাস । বুধবার দুপুরে তিনি বিডিও অফিস চত্বরেই বিষ খান ৷ ভাইরাল হয় সুইসাইড নোট । বৃহস্পতিবার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্য়ু হয় ৷

ময়নাগুড়ি মধ্য খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা গৌতম দাসের খাবারের দোকান রয়েছে বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকাতেই ৷ আগে তিনি ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির খুকশিয়া পার্কে ফুড পার্ক চালাতেন । বিগত কয়েক বছর ধরে বিডিও অফিসের কাছে তিনি পেতেন মোট বকেয়া হয় 4 লাখ 31 হাজার 705 টাকা ৷ তা না পাওয়াতেই এই ঘটনা ৷

Jalpaiguri
দোকানির লেখা সুইসাইড নোটের প্রথম পৃষ্ঠা

আরও পড়ুন : বিডিও অফিসে বকেয়া লক্ষ লক্ষ টাকা, আত্মহত্যার চেষ্টা দোকানির

যদিও এই বিষয়ে বুধবার ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী জানান, গৌতম দাস বিডিও অফিসে আমাদের খাবার সরবরাহ করে থাকেন । 2020 সালের আগে অফিসে খাবার সরবরাহ বাবদ তিনি কয়েক লক্ষ টাকা পেতেন বলে দাবি করেন । আমি ময়নাগুড়ির বিডিও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেকার ঘটনা এটি । আমি তাঁর কাছে সরকারি অর্ডার দেওয়া বাবদ যে বকেয়া টাকা রয়েছে সেই কাগজ চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু তিনি আমাকে পুরনো কোনও অর্ডারের কাগজ দিতে পারেননি । ফলে সরকারি টাকা দেওয়া যায়নি । এরপর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । এটা দুঃখজনক ।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন,"দুঃখজনক ঘটনা । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতেই পারে । বিডিও অফিস থেকে সমস্ত কাগজ দেখতে পারে । তবে বিডিওর কাছে শুনেছি তিনি খাবারের অর্ডারের সরকারি কাগজ দিতে পারেননি ।

মৃতের ছেলে বর্ণজিৎ দাসের বক্তব্য, "বাবাকে হারিয়েছি । এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই ৷ বাবা টাকার জন্য বিষ খেয়েছিলেন । আমি সকলের কথা শুনে কাজ করব ৷"

আরও পড়ুন : হঠাৎ চলন্ত বাসের তলায় শুয়ে পড়লেন প্রৌঢ়, তারপর কী হল ...

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.