ETV Bharat / state

Forest Guards: মান্ধাতার আমলের বন্দুক নিয়ে হাতির সঙ্গে লড়াই ! বনকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন - elephants

Security of Forest Guards: গত একমাসে লোকালয়ে বুনো হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে 15 জনের । তালিকায় একজন বনকর্মীও রয়েছেন ৷ সময় মতো বন্দুক থেকে গুলি বের না হওয়ায় ওই বনকর্মীর মৃত্যু হয় হাতির হানায় ৷ এই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷

elephants
elephants
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 6, 2023, 4:44 PM IST

Updated : Nov 6, 2023, 6:39 PM IST

জলপাইগুড়ি, 6 নভেম্বর: ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধরাম সর্দার ! উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বনকর্মীদের অবস্থা এখন অনেকটা এমনই ৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যু তো ঠেকানো যাচ্ছেই না ৷ তার উপর প্রাণ যাচ্ছে বনকর্মীদেরও ৷ ফলে পরিস্থিতি দিনদিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন বনকর্মী থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা ৷

উল্লেখ্য, গত একমাসে লোকালয়ে বুনো হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে 15 জনের । কেবলমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলার হাতির হানায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে । কোচবিহার জেলায় একই দিনে বুনো হাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে । জলপাইগুড়ি জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ।

এই সাতজনের মধ্যে আবার একজন বনকর্মী ৷ গত শনিবার ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পশ্চিম ব্যাঙডাকি বিটের যোগেন্দ্র নগরে । হাতির হানায় মৃত্যু হয় রিথে সুব্বা (41) নামে ওই বনকর্মীর ৷ তাঁর মৃত্যুর পর বনকর্মীদের বিপদের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ৷ কারণ, সেদিন বন্দুক কাজ করেনি ওই বনকর্মীর ৷ হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে গুলি করতে গিয়ে গুলি না বের হয়নি বন্দুক থেকে ৷ ফলে বনকর্মীকে আছড়ে পিষে মারে হাতিটি ।

প্রসঙ্গত, বছরের এই সময়ে হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বের হয় ধান খাওয়ার লোভে । আর এতেই মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত বাড়ে । হাতিকে জঙ্গলে তাড়াতে অনেক সময় ডাবল ব্যারেল গান দিয়ে গুলি করা হয় । যাতে হাতি ভয়ে চলে যায় । আর সেই বন্দুকই কাজ করেনি কিন্তু সম্প্রতি হাতি তাড়াতে গিয়ে বন্দুক থেকে গুলি না বের হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় ওই বনকর্মীকে ।

বনকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, 2011 সাল থেকে বারবার বনকর্মীদের নতুন হাতিয়ার ও উপকরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও, তার বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ । 2016 সালে বিনয় বর্মন বনমন্ত্রী থাকাকালীনও অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ বনকর্মীদের হাতে উপকরণ দেওয়ার কথা বললেও, তা বাস্তাবায়ন করেননি । বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বনকর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা বললেও তিনিও তা করেননি বলে অভিযোগ ।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন বনকর্মী বিজয় ধর অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বন কর্মীদের অবস্থা খুবই খারাপ । দফতরের আধিকারিকদের কাছে তৃণমূলস্তরের কর্মীদের কোনও মূল্য নেই । বনকর্মীদের যে হাতিয়ার হাতি তাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়, তা মান্ধাতা আমলের । হাতি তাড়ানোর জন্য ভালো লাইট, ক্র‍্যাকার্স, ফায়ার আর্মস ব্যবহার হয় । গ্রাস রুট লেভেলে যাঁরা হাতি তাড়ানোর কাজ করেন, তাঁদের নিরাপত্তার নেই ! কারও কোনও হেলদোল নেই । নিজের উপর রিক্স নিয়েই কাজ করতে হয় ।’’

তাঁর অভিযোগ, 2019 সাল থেকে বনকর্মীরা টিএ বিল পাচ্ছেন না । বন্যপ্রাণী তাড়াতে গিয়ে বনকর্মীরা লোকালয়ে গিয়ে দিন-রাত কাজ করলেও ফুডিং (খাবারের টাকা) দেওয়া হয় না । 1984 সালের সময়কার বন্দুক এখনও সারাই করে বনকর্মীদের চালাতে হচ্ছে । মাঝে অল্প কিছু বন্দুক কেনা হলেও তার পরিমাণ খুব কম ।

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘একটা স্কোয়াডে যত বন্দুক দরকার, তা এখনও পর্যাপ্ত নয় । বছরের পর বছর অত্যাধুনিক বন্দুক-সহ বন্যপ্রাণী তাড়ানোর উপরকরণ দেওয়ার কথা বলা হলেও তা দেওয়া হয়নি । বনকর্মীরা তাঁদের সমস্যার কথা কাকে বলবে ? কে তাঁদের সমস্যার সমাধান করবেন, সেটা কারও জানা নেই ৷ সবাই নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করে চলেছে ।’’

বন্যপ্রাণী প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্নধার স্ন্যাপ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের বক্সা, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, বৈকুন্ঠপুর-সহ বিভিন্ন জঙ্গল থেকে হাতি লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে খাবারের লোভে । আমরা বনকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য বেশ কিছু কিউআরটি করেছি । বন দফতর মাত্র 40 শতাংশ স্টাফ দিয়ে কাজ করছে । আমরা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপালের দ্বারস্থ হয়েছি । অবিলম্বে বন দফতরে স্টাফের সংখ্যা বাড়াতে হবে । বনকর্মীদের অত্যাধুনিক হাতিয়ার দিতে হবে । আমরা এই দাবিটা রেখেছি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বন্দুক কেনা হবে বলে রাজ্যের বনমন্ত্রী একাধিকবার বলে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি । কিছু জায়গায় বাইক দেওয়া হয়েছে ও বন্দুক কেনা হয়েছে । কিন্তু তা 10 শতাংশ হয়নি । বন্দুক থাকলেও গুলির সংস্থান নেই । আমরা ফের আবার বন দফতরের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হব ।’’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘হাতির আক্রমণে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং জেলায় হাতির আক্রমণে একমাসে প্রায় 15 জনের মৃত্যু হয়েছে । তা আমাদের কাছে খুব অ্যালার্মিং । লোকালয়ে বন্যপ্রাণী বের হলে কীভাবে তাদের জঙ্গলে ফেরানো হবে, তার জন্য একটা সঠিক পরিকল্পনা ও বনকর্মীদের হাতে পর্যাপ্ত উপকরণ দেওয়া উচিত ।’’

রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘হাতির আক্রমণে বনকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমার নলেজে নেই । বিষয়টি নিয়ে আমি আগামী পরশু বৈঠক বসব । বন্দুকগুলো অবস্থা কেমন, তা জানার চেষ্টা করব । কীভাবে মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত কমানো যায়, তা দেখা হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: চা বাগানের নর্দমায় পড়ে শাবকের মৃত্যু, দেহ কবর দিয়ে চলে গেল হাতির পাল

জলপাইগুড়ি, 6 নভেম্বর: ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধরাম সর্দার ! উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বনকর্মীদের অবস্থা এখন অনেকটা এমনই ৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যু তো ঠেকানো যাচ্ছেই না ৷ তার উপর প্রাণ যাচ্ছে বনকর্মীদেরও ৷ ফলে পরিস্থিতি দিনদিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন বনকর্মী থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা ৷

উল্লেখ্য, গত একমাসে লোকালয়ে বুনো হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে 15 জনের । কেবলমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলার হাতির হানায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে । কোচবিহার জেলায় একই দিনে বুনো হাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে । জলপাইগুড়ি জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি মহকুমায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ।

এই সাতজনের মধ্যে আবার একজন বনকর্মী ৷ গত শনিবার ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পশ্চিম ব্যাঙডাকি বিটের যোগেন্দ্র নগরে । হাতির হানায় মৃত্যু হয় রিথে সুব্বা (41) নামে ওই বনকর্মীর ৷ তাঁর মৃত্যুর পর বনকর্মীদের বিপদের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ৷ কারণ, সেদিন বন্দুক কাজ করেনি ওই বনকর্মীর ৷ হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে গুলি করতে গিয়ে গুলি না বের হয়নি বন্দুক থেকে ৷ ফলে বনকর্মীকে আছড়ে পিষে মারে হাতিটি ।

প্রসঙ্গত, বছরের এই সময়ে হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বের হয় ধান খাওয়ার লোভে । আর এতেই মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত বাড়ে । হাতিকে জঙ্গলে তাড়াতে অনেক সময় ডাবল ব্যারেল গান দিয়ে গুলি করা হয় । যাতে হাতি ভয়ে চলে যায় । আর সেই বন্দুকই কাজ করেনি কিন্তু সম্প্রতি হাতি তাড়াতে গিয়ে বন্দুক থেকে গুলি না বের হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় ওই বনকর্মীকে ।

বনকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, 2011 সাল থেকে বারবার বনকর্মীদের নতুন হাতিয়ার ও উপকরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও, তার বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ । 2016 সালে বিনয় বর্মন বনমন্ত্রী থাকাকালীনও অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ বনকর্মীদের হাতে উপকরণ দেওয়ার কথা বললেও, তা বাস্তাবায়ন করেননি । বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বনকর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা বললেও তিনিও তা করেননি বলে অভিযোগ ।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন বনকর্মী বিজয় ধর অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বন কর্মীদের অবস্থা খুবই খারাপ । দফতরের আধিকারিকদের কাছে তৃণমূলস্তরের কর্মীদের কোনও মূল্য নেই । বনকর্মীদের যে হাতিয়ার হাতি তাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়, তা মান্ধাতা আমলের । হাতি তাড়ানোর জন্য ভালো লাইট, ক্র‍্যাকার্স, ফায়ার আর্মস ব্যবহার হয় । গ্রাস রুট লেভেলে যাঁরা হাতি তাড়ানোর কাজ করেন, তাঁদের নিরাপত্তার নেই ! কারও কোনও হেলদোল নেই । নিজের উপর রিক্স নিয়েই কাজ করতে হয় ।’’

তাঁর অভিযোগ, 2019 সাল থেকে বনকর্মীরা টিএ বিল পাচ্ছেন না । বন্যপ্রাণী তাড়াতে গিয়ে বনকর্মীরা লোকালয়ে গিয়ে দিন-রাত কাজ করলেও ফুডিং (খাবারের টাকা) দেওয়া হয় না । 1984 সালের সময়কার বন্দুক এখনও সারাই করে বনকর্মীদের চালাতে হচ্ছে । মাঝে অল্প কিছু বন্দুক কেনা হলেও তার পরিমাণ খুব কম ।

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘একটা স্কোয়াডে যত বন্দুক দরকার, তা এখনও পর্যাপ্ত নয় । বছরের পর বছর অত্যাধুনিক বন্দুক-সহ বন্যপ্রাণী তাড়ানোর উপরকরণ দেওয়ার কথা বলা হলেও তা দেওয়া হয়নি । বনকর্মীরা তাঁদের সমস্যার কথা কাকে বলবে ? কে তাঁদের সমস্যার সমাধান করবেন, সেটা কারও জানা নেই ৷ সবাই নিজেকে বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করে চলেছে ।’’

বন্যপ্রাণী প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্নধার স্ন্যাপ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের বক্সা, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, বৈকুন্ঠপুর-সহ বিভিন্ন জঙ্গল থেকে হাতি লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে খাবারের লোভে । আমরা বনকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য বেশ কিছু কিউআরটি করেছি । বন দফতর মাত্র 40 শতাংশ স্টাফ দিয়ে কাজ করছে । আমরা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপালের দ্বারস্থ হয়েছি । অবিলম্বে বন দফতরে স্টাফের সংখ্যা বাড়াতে হবে । বনকর্মীদের অত্যাধুনিক হাতিয়ার দিতে হবে । আমরা এই দাবিটা রেখেছি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বন্দুক কেনা হবে বলে রাজ্যের বনমন্ত্রী একাধিকবার বলে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি । কিছু জায়গায় বাইক দেওয়া হয়েছে ও বন্দুক কেনা হয়েছে । কিন্তু তা 10 শতাংশ হয়নি । বন্দুক থাকলেও গুলির সংস্থান নেই । আমরা ফের আবার বন দফতরের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হব ।’’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘হাতির আক্রমণে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং জেলায় হাতির আক্রমণে একমাসে প্রায় 15 জনের মৃত্যু হয়েছে । তা আমাদের কাছে খুব অ্যালার্মিং । লোকালয়ে বন্যপ্রাণী বের হলে কীভাবে তাদের জঙ্গলে ফেরানো হবে, তার জন্য একটা সঠিক পরিকল্পনা ও বনকর্মীদের হাতে পর্যাপ্ত উপকরণ দেওয়া উচিত ।’’

রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘হাতির আক্রমণে বনকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমার নলেজে নেই । বিষয়টি নিয়ে আমি আগামী পরশু বৈঠক বসব । বন্দুকগুলো অবস্থা কেমন, তা জানার চেষ্টা করব । কীভাবে মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত কমানো যায়, তা দেখা হচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: চা বাগানের নর্দমায় পড়ে শাবকের মৃত্যু, দেহ কবর দিয়ে চলে গেল হাতির পাল

Last Updated : Nov 6, 2023, 6:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.