জলপাইগুড়ি, 7 সেপ্টেম্বর: জন্মাষ্টমী মানেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল বলে ৷ শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির শুভক্ষণে নন্দোৎসব ও কাদাখেলার মধ্যে দিয়েই শুরু হল জলপাইগুড়ির রাজ পরিবারের দুর্গাপূজার প্রস্তুতি । জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির 514 বছরের দূর্গা পুজোর কাঠামো পূজো হল এদিন।
বৈকুন্ঠপুর রাজপরিবারের ঐতিহ্য মেনে দুর্গা পুজার কাঠামো পুজোয় উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্যা লিল্ডা বসু। পরিবারের সদস্যদরে পাশাপাশি এলাকাবাসীও উপস্থিত ছিলেন এদিনের পুজোয় ৷ এবছর জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের দূর্গাপুজো 514 তম বছরে পদার্পণ করতে চলেছে । আজ জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দূর্গা মন্দিরে কাঠামো পুজো করেন রাজ পরিবারের কুল পুরোহিত শিবু ঘোষাল । এই কাঠামো পুজো প্রসঙ্গেই রাজ পরিবারের সদস্যা লিণ্ডা বসু বলেন, "এবছর 514 বছর রাজ পরিবারের পুজো । জন্মাষ্টমীর দিন নন্দোৎসব ও কাদা খেলার মাধ্যমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল । আবারও ঘরের মেয়ে উমা ঘরে ফিরবে ৷ চার দিনের আনন্দ হলেও, আজ থেকেই তার রেশ শুরু হয়ে গেল ৷"
রাজ পরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, যেহেতু রাজপরিবারের বিগ্রহ বৈকুন্ঠনাথ তাই শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেই কাঠামো পুজো হয়। জন্মাষ্টমীর দিন কাদাখেলা নন্দোৎসবের মধ্যে দিয়েই রাজবাড়ির দুর্গাপুজার প্রস্তুতি শুরু হল । দুর্গা মন্দিরের পাশেই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কাদাখেলা । কি এই কাদা খেলা ? পুকুর বা জলাশয়ের ধারে স্থানীয় যুবকরা মাটির মধ্যে গড়াগড়ি দিয়ে মাটি মেখে খেলা করে ৷ সেটি এলাকায় কাদাখেলা নামে পরিচিত ৷ এই খেলার সময় একটি বাঁশের মাথায় হাঁড়ি বেঁধে অনেকটা শ্রীকৃষ্ণের ননীর চুরির মতো করে সেই হাঁড়ি পাড়তে চায় একজন ৷ এই রীতি পালিত হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ৷
আরও পডু়ন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কৃষ্ণময় মায়াভূম ইসকন, ভক্ত সমাগমে মুখরিত মন্দির
এই রাজ পরিবারের পুজোর বিশেষত্ত্ব হল , কাদা খেলার মাটি সংগ্রহ করে, সেই মাটি দিয়েই দুর্গামূর্তি বানাবেন মৃৎশিল্পীরা ৷ বহু প্রাচীন বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো হয় কালিকাপুরাণ মতে ৷ দুর্গা মূর্তি দেখতে তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা।