জলপাইগুড়ি, 8 এপ্রিল : সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা । তবুও কোরোনার ভয় উপেক্ষা করেই কাজ করে চলেছেন জলপাইগুড়ির যুবতি । এই সময় অন্তঃসত্ত্বাদের যখন নানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে । তিনি তখন মানুষের সেবায় অবিচল । কোথা থেকে পাচ্ছেন অনুপ্রেরণা ? মেয়ে হৈমন্তীর কথায়, বাবা পুলিশ । 58 বছরেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রোজ কাজ করে চলেছেন । তিনিই অনুপ্রেরণা ।
জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতাগ্রাম । সেখানকার 1 নম্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স হৈমন্তী শীল । তাঁর বাবা বশিষ্ট শীল নাগরাকাটা থানার সাব ইন্সপেক্টর । 58 বছর বয়সে বাবাকে এই জরুরি অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখাই হৈমন্তীর কাজের অনুপ্রেরণা । ঝাড় আলতাগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স এবং কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকায় ছুটি নিলে কাজ করার লোক নেই । এই অবস্থায় তাই সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও সপ্তাহে ছ'দিন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলে আসেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক নচিকেতা দলুই বলেন, "এই পরিস্থিতিতে হৈমন্তী মানুষকে যেভাবে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যি প্রশংসনীয় এবং বড় পাওনা । আমরা ওঁর দিকে নজর রাখছি । যে কোনও সুবিধা -অসুবিধায় আমরা এবং গ্রামবাসীরা পাশে রয়েছি ।"
হৈমন্তীর কথায়, বিপদের দিনে মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করে যাচ্ছি । গ্রামবাসীর কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন জলপাইগুড়ি থেকে এসে কাজ করে যাচ্ছি । সবাই আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছেন । বাবা পুলিশে চাকরি করেন । তিনিও জরুরি পরিষেবায় যুক্ত । তিনি আমার অনুপ্রেরণা ।