রাজগঞ্জ (জলপাইগুড়ি), 10 জুলাই: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের জুমাগছ, চতুরাগছ ও খোয়ারকাটা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ ৷ শনিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ৷ যে ঘটনায় আজ জলপাইগুড়ি জেলার বিশেষ পর্যবেক্ষককে অভিযোগ জানালেন আক্রান্ত পরিবারগুলি ৷ উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটের দিন সন্ত্রাস, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ তার জেরে সেখানকার 14টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৷ অভিযোগ যাতে পুনর্নির্বাচনে বিরোধী দলের সমর্থকরা অংশ না নিতে পারে, সেই কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে ৷
এ নিয়ে আক্রান্ত জোট সমর্থক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সমর্থক ৷ নির্বাচনের দিন সন্ত্রাস হয় এখানে ৷ ওইদিনের পর থেকে আমাদের বাড়িতে হামলা করতে শুরু করে পুলিশ ৷ ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি টাকা-পয়সাও লুট করা হয়েছে ৷ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ ৷ সেজন্য আমরা আজ ভোট দিতে পারলাম না ৷" একই অভিযোগ তঞ্জিমা বেগমের ৷ তাঁর কথায়, "ঘরের ভিতর ঢুকে পুলিশ যথেচ্ছভাবে অত্যাচার চালিয়েছে ৷ সমস্ত জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে ৷ আমরা আতঙ্কে রয়েছি ৷ আমাদের বলা হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে থাকতে ৷ আমরা জোটের সমর্থক দেখেই এসব করা হয়েছে ৷"
অভিযোগ উঠেছে ভোট দিতে গেলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ৷ ঘটনার খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বিশেষ পর্যবেক্ষক দলকে ওই এলাকায় পাঠানো হয় ৷ পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্বে থাকা সুজাতা বসুর কাছে সমস্ত অভিযোগ জানান আক্রান্তরা ৷ তিনি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: অশোকনগরে পুনর্নির্বাচনেও দেদার ছাপ্পা ! আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বামেদের
যদিও গ্রামবাসী তথা জোট প্রার্থী এবং তাঁর সমর্থকদের অভিযোদ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, "এ সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ৷ বিরোধীরা পরাজিত হবে দেখে এখন এইসব অভিযোগ তুলছে ৷" উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে সকালের দিকে কয়েকটি বুথে দেরিতে নির্বাচন শুরু হয় ৷ তবে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সশস্ত্র পুলিশি পাহারায় শান্তিপূর্ণভাবে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৷