জলপাইগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর: অবৈধ নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে অভিযান স্বাস্থ্য দফতরের ৷ প্রশ্নের মুখে জলপাইগুড়ির দিশারী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার । অভিযোগ পেয়েই নার্সিং সেন্টারে মঙ্গলবার অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৷ অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই দিশারী নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিকাল সেন্টারটি ৷ শহরজুড়ে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন দিশারী নার্সিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা এবং স্ত্রী অনুস্মিতা শর্মা ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার বলেন, "দিশারী নার্সিং সেন্টার অবৈধভাবে চলছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এরপরই আমরা খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের টিম সেখানে পাঠিয়েছি।" সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অভিযোগ আসে, জলপাইগুড়িপর পান্ডাপাড়ায় দিশারী নার্সিং নামে একটি ট্রেনিং সেন্টার অবৈধভাবে চলছে। তা খতিয় দেখতেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে অভিযান চালানের সিদ্ধান্ত নেন ৷ জেলা ডেপুটি সিএমওএইচ ড: সুখেন্দু বিশ্বাসের নেতৃত্বে আজ স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালায়। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা দেখেন সেন্টারটি বন্ধ। জানা গিয়েছে, শান্তনু শর্মা তাঁর শ্বশুর বাড়িতে সেন্টারটি চালাতেন।
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে ফোন করা হলেও তিনি আসেননি। বেশ কিছুটা সময় পর তাঁর স্ত্রী অনুস্মিতা শর্মা নার্সিং সেন্টারে এসে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর, কোনও বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন সেন্টার চালানোর পাশাপাশি নিয়ম ভেঙে বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষাও হত এখানে। ট্রেনিংয়ের পর যে সার্টিফিকেট দেওয়া হত তাও অবৈধ ।
আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নার্সিং পড়ুয়াকে 'খুন', আত্মহত্যা অভিযুক্ত যুবকের
ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার (স্বাস্থ্য) ড: সুখেন্দু বিশ্বাস জানান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে তাঁরা দিশারী নার্সিং সেন্টার অভিযানে এসেছিলেন ৷ তাঁরা যে ট্রেনিং দিচ্ছেন তার কোনও বৈধ কাগজ পত্র আছে কি না তা দেখতে চান ৷ যদি সেসব কিছুই দেখাতে পারেনি ওই ট্রেনিং সেন্টারের পক্ষ থেকে ৷ সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ৷