জলপাইগুড়ি, 12 জনুয়ারি: অঙ্কুর দাস গ্রেফতার হয়েছেন শুনে তাঁর বড়িতে যান জয়কৃষ্ণ দেওয়ান । এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জয়কৃষ্ণ বলেন, "অঙ্কুর দাস আমাকে সাহায্য করেছিলেন । উলটে তাঁকেই গ্রেফতার করা হল । আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক । কিন্তু অঙ্কুরকে ছেড়ে দিক । আমরা একাধিক সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ৷ তাতে সকারের বদনাম হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ৷"
জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী অভিযোগ করেন "হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাঁরাই কথা বলবেন তারাই গ্রেফতার হবেন । অঙ্কুর দাস বা যেই হোক যারা জলপাইগুড়ির হাসপাতালের রোগীর ওষুধ চুরি, রোগীদের পথ্য চুরি এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এমন সকলেরই বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য আধিকারিক ও তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে । সেখানে মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন অঙ্কুর । মৃতদেহ পৌঁছে দিয়েছেন । তিনি ভালো কাজ করেছেন । তাকে প্রশাসনের থেকে পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল তা না-করে তাকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে (Local BJP leaders targeted TMC for the arrest)।
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, একটাই কারণে এই সমস্ত করা হচ্ছে যাতে কেঁচো খুড়তে সাপ না বেরিয়ে যায় । সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ও মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে অনেকেই কাটমানি খাচ্ছেন । তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে সদর হাসপাতাল থেকে ভালো ভালো ডাক্তার চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন ।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে মৃতদেহ কাঁধে তুলে বিপত্তি! গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক অঙ্কুর দাস
এই প্রসঙ্গেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন," প্রথমত এই বিষয় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । এটা কোনও দলের বিষয় নয়, রাজনীতির বিষয় নয় । যে ঘটনা ঘটেছে তা আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি । নানা সময় নানা মত এসেছে । প্রশাসন তদন্ত করছিল তাতে যদি কাউকে গ্রেফতার করে থাকে তাহলে সেটা আইনের বিষয় । "
গত পরশু জেলাশাসকের দফতরে এসে মৃতার স্বামী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, "আমি কারও প্ররোচনাতে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিইনি । কেন সরকারি পরিষেবা পাব না । এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই কাঁধে করে মৃতদেহ তুলে নিয়েছিলাম । আমাকে হাসপাতাল থেকে সাহায্য করা হয়নি । ওয়ার্ড মাস্টার সাফ জানিয়েছিলাম সরকারিভাবে শব পরিবহণের কোনও ব্যবস্থা নেই । সংবাদ মাধ্যম ছবি তুলে বেশ করেছে । নাহলে কেউ জানতে পারত না ।"